পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ులిస్రి রবীন্দ্র-রচনাবলী হারিয়ে-পাওয়া আলোটিরে নাচায় ডালে ফিরে ফিরে ঝুমকো ফুলের লতা 2=ttحه t=محاحیه خچه ভক্তরামের নৌকো শক্ত কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি । ভক্তরাম সেই নৌকো সস্তা দামে বিক্রি করে। শক্তিনাথবাবু কিনে নেন । শক্তিনাথ আর মুক্তিনাথ দুই ভাই যে-পাড়ায় থাকেন, তার নাম জেলেবস্তি । র্তার বাড়ি খুব মস্ত । সামনে নদী, পিছনে বড়ো রাস্তা। তার দারোয়ান শক্ত, সিং আর আক্রম মিশ্র রোজ সকালে কুস্তি করে । শক্তিনাথবাবুর চাকরের নাম অক্রুর । তার বড়ো ছেলের নাম বিক্রম। ছোটো ছেলের নাম শক্রনাথ । শক্তিবাবু তার নৌকো লাল রং ক’রে দিলেন। তার নাম দিলেন রক্তজবা । তিনি মাঝে মাঝে নৌকোয় ক’রে কখনো তিস্তা নদীতে কখনো আত্রাই নদীতে কখনো ইচ্ছামতীতে বেড়াতে যান। একদিন অঘ্রান মাসে পত্র পেলেন, বিপ্রগ্রামে বাঘ এসেছে। শিকারে যাত্রা করলেন । সেদিন শুক্রবার। শুক্লপক্ষের চন্দ্র সবে অস্ত গেছে । আক্রম বন্দুক নিয়ে চলল। আরো দুটো বল্লম ছিল। সিন্দুকে ছিল গুলি বারুদ । নদীতে প্রবল স্রোত। বেলা যখন দুই প্রহর, নৌকো নন্দগ্রামে পৌছল। রৌদ্র ঝ ঝণ করছে। এক ভদ্রলোক খবর দিলেন, কাছেই বন্দীপুরের বন, সেখানে আছে বাঘ । শক্তিবাবু আর আক্রম বাঘ খুজতে নামলেন। জঙ্গল ঘন হয়ে এল। ঘোর অন্ধকার । কিছু দূরে গিয়ে দেখেন, এক পোড়ো মন্দির। জনপ্রাণী নেই। শক্তিবাবু বললেন, এইখানে একটু বিশ্রাম করি। সঙ্গে ছিল লুচি, আলুর দম আর পাঠার মাংস ৷ তাই খেলেন । আক্রম খেল চাটনি দিয়ে রুটি । তখন বেলা প’ড়ে আসছে। গাছের ফাক দিয়ে বাকী হয়ে রৌদ্র পড়ে। প্রকাগু অজুন গাছের উপর কতকগুলো বাদর ; তাদের লম্বা ল্যাজ ঝুলছে। শক্তিবাবু কিছু দূরে গিয়ে দেখলেন, একটা ছোটো সোতা । তাতে এক হাটুর বেশি জল হবে না। তার ধারে বালি। সেই বালির উপর বড়ো বড়ে থাবার দাগ । নিশ্চয় বাঘের থাবা । শক্তিবাবু ভাবতে লাগলেন, কী করা কর্তব্য । অজ্ঞান মাসের বেলা। পশ্চিমে স্বর্য অস্ত গেল। সন্ধ্যা হোতেই ঘোর অন্ধকার। কাছে তেঁতুল গাছ। তা’র উপরে