পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী 8خطیف কৈকেয়ীর এক চেড়ী ছিল তার নাম মন্থর, সে ভরতের ধাত্রীমাতা। সে ঈর্ষান্বিত হয়ে কৈকেয়ীকে গিয়ে বললে, ভরতকে এড়িয়ে রামকে যদি রাজা করা যায় তাহলে অপমানে দুঃখের সাগরে ডুরে মরবি, এর প্রতিবিধান করতে হরে । প্রথমে কৈকেয়ী এ কথায় কান দেননি কিন্তু বারবার তাকে উত্তেজিত কৱাতে র্তার মন বিগড়ে গেল, তিনি মন্থরাকে জিজ্ঞাসা করলেন কী উপায় করা যেতে পারে। মন্থরা তাকে মনে করিয়ে দিলে, এক সময় তার ব্রণক্ষতের শুশ্রুষায় সস্তুষ্ট হয়ে দশরথ কৈকেয়ীকে দুটি বর দিতে প্রতিশ্রত হয়েছিলেন । আজ সেই প্রতিশ্রুতি পালন উপলক্ষ্যে এক বরে রামের চোদো রংসর নির্বাসন, আর এক বরে ভরতকে রাজ্যদান প্রার্থনা করতে হবে । বাকি অংশের সুচি— কৈকেয়ী সম্ভাষণে কৈকেয়ীর ঘরে দশরথের গমন । ভূতলশায়িনী কৈকেয়ীর ক্ষুব্ধ অবস্থায় দশরথ যখন তাকে সাস্তুনা দেবার উপলক্ষ্যে তার ক্ষোভের কারণ দূর করতে স্বীকৃত হলেন, তখন শুশ্ৰুষাকালীন পূর্ব প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে কৈকেয়ীর দুই বর প্রার্থনা । শুনে রাজার দুঃখবিহবল অবস্থা । এদিকে অভিষেকসভার বিলম্ব দেখে অন্তঃপুরে এসে দশরথের কাছে সারথি সুমন্ত্রের কারণ জিজ্ঞাসা । কৈকেয়ী কতৃক সমস্ত ঘটনা বিবৃতি ও রাজার কাছ থেকে সত্যপালনের দারি । সুমন্ত্রের কাছ থেকে সমস্ত রিররণ শুনে অন্তঃপুরে গিয়ে পিতার সত্যরক্ষার জন্য রামের কথা দেওয়া । অন্যায় সত্য-লঙ্ঘনের জন্য ক্রুদ্ধ লক্ষ্মণের অনুরোধ। পিতৃসত্য রক্ষায় রামের দৃঢ় সংকল্প । রামের বনযাত্রায় সীতা ও লক্ষ্মণের অন্ধুগমন । মহাভারত মহাভারতে দূতক্রীড়ার বিবরণ পূর্বোক্ত রীতিতে যথাসম্ভব সংক্ষেপে লেখে । বারমাস্থ্য বৎসরের ভিন্ন ভিন্ন মাসে সিংহল রাজকন্যা ধনপতিকে কী উপায়ে ও উপকরণে খুশী করবার প্রস্তাব করছে আপন ভাষায় তার বর্ণনা করে । যেমন— বৈশাখ মাসে যখন প্রচণ্ড স্কুয়ের তাপ স্বসহ হয় তখন তোমাকে চন্দ্রন মাখিয়ে সুগন্ধ জল দিয়ে স্নান করার, শ্যামলৱৰ্ণ গামছা দিয়ে তোমার গা মুছিয়ে দেৱ । আর নববর্ষে দান দক্ষিণা দেৰ ব্ৰাহ্মণকে । l