পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆtyఆ রবীন্দ্র-রচনাবলী বনগন্ধবহ তপ্ত বাতাসে দিন কাটিয়ে দিলে একলা বাশি বাজিয়ে । ওঠে। কবি, তোমার চিত্তের মধ্যে যদি প্রাণ থাকে তবে তাই তুমি দান করতে এসো। ইত্যাদি— । দেবতার গ্রাস এই কবিতার গল্প অংশ সংক্ষিপ্ত ক’রে লেখে, কেবল রস দিয়ে লেখে। এর বর্ণনাগুলি । যেমন— মৈত্র মহাশয় সাগরসংগমে যেতে প্রস্তুত হোলে মোক্ষদা তার সহযাত্রিণী হবার জন্য মিনতি জানালে । বললে তার নাবালক ছেলেটিকে তার মাসির কাছে রেখে যাবে। ব্রাহ্মণ রাজী হলেন । মোক্ষদা ঘাটে এসে দেখে তার ছেলে রাখাল নৌকোতে এসে বসে আছে। টানাটানি ক’রে কিছুতেই তাকে ফেরাতে যখন পারলে না তখন হঠাৎ রাগের মাথায় বললে, চল তোকে সাগরে দিয়ে আসি । ব’লেই অনুতপ্ত হয়ে অপরাধ মোচনের জন্যে নারায়ণকে স্মরণ করলে । মৈত্র মহাশয় চুপি চুপি বললেন, ছি ছি এমন কথা বলবার নয় । সাগরসংগমের মেলা শেষ হোলো, যাত্রীদের ফেরবার পথে জোয়ারের আশায় ঘাটে নৌকো বাধা । মাসির জন্য রাখালের মন ছট্‌ফট্‌ করছে। চারিদিকে জল, কেবল জল ৷ চিকন কালে কুটিল নিষ্ঠুর জল, সাপের মতো ক্রুর, খল সে ছলভরা, ফেনাগুলি তার লোলুপ, লকলক করছে জিহবা, লক্ষ লক্ষ ঢেউয়ের ফণা তুলে সে ফু সে উঠছে, গর্জে উঠছে, লালায়িত মুখে মৃত্তিকার সন্তানদের কামনা করছে। কিন্তু আমাদের স্নেহময়ী মাটি সে মূক, সে ধ্রুব, সে পুরাতন, স্যামলা সে কোমলা, সকল উপদ্রব সে সহ করে। যে কেউ যেখানেই থাকে তার অদৃশ্ব বাহু নিয়ত তাকে টানছে আপন দিগন্তবিস্তৃত শাস্ত কক্ষের দিকে । ইত্যাদি— । হতভাগ্যের গান হতভাগার দল গাচ্ছে যে আমরা দুরদৃষ্টকে হেসে পরিহাস ক’রে যাব । সুখের স্ফীতবুকের ছায়াতলে আমাদের আশ্রয় নয়। আমরা সেই রিক্ত সেই সর্বহারার দল, বিশ্বে যারা সর্বজয়ী, গর্বিত ভাগ্যদেবীর যারা ক্রীতদাস নয়। এমনি ক’রে বাকি অংশটা সম্পূর্ণ ক’রে দাও । বীরপুরুষ বালক তার মাকে ডাকাতের হাত থেকে রক্ষণ করবার যে গল্প মনে মনে বানিয়ে তুলেছে সেটি রস দিয়ে ফলিয়ে লেখো ।