পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদর্শ প্রশ্ন به سراوا সরলা এই কবিতায় আপন শক্তিতে আপন ভাগ্যকে জয় করবার অধিকার পেতে চাচ্ছে নারী । দৈবের দিকে তাকিয়ে ক্লাস্ত ধৈর্য নিয়ে সে পথপ্রাস্তে জেগে থাকতে চায় না। নিজে চিনে নিতে চায় নিজের সার্থকতার পথ। সতেজে সে সন্ধানের রথ ছুটিয়ে দিতে চায় দুর্ধর্ষ অশ্বকে দৃঢ় বলগায় বেঁধে । সমস্ত কবিতাটিকে এইরূপে গদ্যে ভাষান্তরিত করে । (2) এই কবিতায় কী প্রশ্ন করা হয়েছে। নতুন কাল এই কাব্যে বিবৃত সে-কালের বর্ণনা করে । সমুদ্রের প্রতি এই কবিতাটির বিশেষত্ব এই যে, এর বিষয়টি গম্ভীর, অথচ সমস্তটা ব্যঙ্গের সুরে অবলীলায়িত ভঙ্গীতে লিখিত। অপবাদের ভান ক’রে কবি কী বলছেন সমুদ্রকে, উদ্ধৃত ক’রে দাও । যথা— ধরণীর প্রতি তার ব্যবহার, কিংবা তার নিরর্থক অস্থিরতা । অবশেষে কী ব’লে তাকে প্রশংসা জানাচ্ছেন। যেমন—তার নূতন দেশস্থষ্টির উদ্যম, কিংবা মোক্ষকামী তপস্বীর মতো যোগাসনে তার ধ্যানমগ্নতা । দেশের লোক কবি কতৃক বণিত সাধারণ দেশের লোকের দিনযাত্রা ও মনোভাবের ছবিটি আপন ভাষায় প্রকাশ করে । চম্পা বসন্ত যখন শেষ হয়েছে, বিষন্ন বিশ্ব যখন নির্মম গ্রীষ্মের পদানত, তখন আধেক ভয়ে আধেক আনন্দে একল| এল চাপ রুদ্রের তপোবনে, সাহসিক অপসরীর মতো । এই কবিতাটির বাকি অংশটুকু এই রকম ক’রে গদ্যে লেখো । হাট লোকালয়ের মাঝখানে হাটের চালাগুলি, সন্ধ্যা বেলায় প্রদীপ জলে না, সকাল বেলায় বাট পড়ে না, বেচাকেন। সারা হোলেই যে যার ঘরে চলে যায়। এক সময়ে সংসারে আবশ্বকের ভিড়, আর এক সময়ে প্রয়োজনের শেষে তার শূন্যতা ও উপেক্ষা।