পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o রবীন্দ্র-রচনাবলী অথবা— হাস্রে শরৎ চাদ কিরণ বিস্তারি। পথে মাঠে কি বাহার চেয়ে দেখ একবার পদব্রজে পথিকের সারি । এই বর্ণনাটি ফলাইয়া লিখ । (খ) পল্লীগ্রামে অন্ধকার রাত্রিতে ঝড়বৃষ্টি হইতেছিল ; বিধবা স্ত্রীলোকের রুগ্ন ছেলেটির জন্য ডাক্তার ডাকিবার কোনো লোক নাই জানিয়া অবিনাশ ভীতস্বভাব হইলেও ভয় সম্বরণ করিয়া ডাক্তারের বাড়ী গেল । এই ঘটনাটিকে বর্ণনা করিয়া লিখ । অথবা— কলিকাতার অথবা পরিচিত কোনো গ্রাম বা সহরের কোনো একটি পথের কিয়দংশ যথাযথরূপে বর্ণনা কর । (গ) মনে কর একশো টাকা লাভ করিয়াছ, এই টাকা লইয়া কি করিতে চাও, তাহা বন্ধুকে জানাইয়া লিখ । অথবা— তোমার পাঠ্যবিষয়গুলির মধ্যে কোন কোনটা তোমার বিশেষ ভাবে ভাল লাগে বা লাগে না, তাহার আলোচনা করিয়া পত্র লিথ । (ঘ) কবি হেমচন্দ্রের যে কবিতা তোমার সর্বাপেক্ষ ভাল লাগিয়াছে, তাহার ভাষা, ছন্দ ও কবিত্ব বিচার কর । ( কবিতাবলী দেখিয়া লিখিতে পার ) ৫ । নিম্নোদ্ধৃত অংশ সরল ভাষায় লিখ— তদনন্তর মুনিশ্রেষ্ঠ বাল্মীকি সীতাসহিত জনবৃন্দমধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া রামকে এইরূপ বলিতে লাগিলেন—“হে দাশরথে, ধৰ্ম্মচারিণী এই সীতা লোকাপবাদহেতু আমার আশ্রমসমীপে পরিত্যক্ত হইয়াছিলেন । এই অপাপা পতিপরায়ণ তোমার নিকট প্রত্যয় প্রদান করিবেন।” রাম বাল্মীকিকর্তৃক এইরূপ কথিত হইয়া এবং সেই দেববর্ণিনী জানকীকে দেখিয়া, কৃতাঞ্জলিপূর্বক, জনগণের সমক্ষে এইরূপ বলিতে লাগিলেন, “হে ধৰ্ম্মজ্ঞ, আপনি যাহা বলিতেছেন তাহাই সত্য । আপনার পবিত্র বাক্যেই আমার প্রত্যয় হইতেছে। এই জানকীকে আমি পবিত্রা মনে জানিয়াও শুদ্ধ লোকাপবাদভয়ে ত্যাগ করিয়াছি । কিন্তু আপনি আমাকে ক্ষমা করিবেন, সীতাশপথ দর্শনজন্য কৌতুহলাক্রান্ত হইয়া সকলে সমাগত হইয়াছেন।” তখন কাষায়বস্ত্রপরিধান