পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t ; * * t , | 伊 *- أيه راہم যুক্তিসিদ্ধ। চুপ করিয়া বসিয়া থাকিলে যে হাত পা ভাঙ্গিবে, ইহা যুক্তিসিদ্ধ নহে, কারণ, এই কাৰ্য্যকারণের মধ্যে একটা যোগ পাওয়া যায় না। কিন্তু একটু ভাবিলেই দেখা যায়, আমরা কেবল কতকগুলি ঘটনাই দেখিতে বা জানিতে পাই, কোন কাৰ্য্যকারণের ধোগ আমাদের চোখে পড়ে ! ঈশ্বর নামক সূক্ষ্ম পদার্থে ঢেউ উঠিলে আমরা যে আলো দেখিতে পাই, ইহার যুক্তি কি ? এ দুইটি ঘটনার মধ্যে যোগ কোথায় ? আমাদের মস্তিষ্কের কতকগুলি পরমাণু ঘোরার সঙ্গে আমাদের স্মৃতির, ভাবনার, মনোবৃত্তির কি যোগ থাকিতে পারে ? এমন কি কাৰ্য্যকারণগৃঙ্খলা আছে, যাহার পদে পদে missing links নাই ? এই ত তোমার যুক্তি ! এই তৃণটি ধরিয়া তুমি অনন্ত নামক অকুল অতলস্পর্শ সমুদ্রে কি বলিয়া ভাসিতে চাও ! যুক্তির গোটাকতক কাজ আছে তার আর ভুল নাই, কিন্তু তাই বলিয়া ঐ দাম্ভিকটা যে যেখানে সেখানে মোড়লি করিয়া বেড়াইবে সে কাহার প্রাণে সয় ? তার নিজের কাজই ঢের বাকি পড়িয়া আছে, পরের কাজে ব্যাঘাত করিয়া সময় নষ্ট করিবার আবশ্বক ? জগতের যেমন একদিকে সীমা, আর-একদিকে অনস্ত, একদিকে তীর আরএকদিকে সমুদ্র, আমাদের মনেরও তেমনি একদিকে সীমা আর-একদিকে অসীম ; সীমার রাজ্যে যুক্তির শাসন, অতএব সে রাজ্যে যুক্তির শাসন লঙ্ঘন করিলে পদে পদে তাহার ফল ভোগ করিতে হয় ; কিন্তু যখনি অসীমের রাজ্যে পদার্পণ করিলাম, তখনি আমরা আর যুক্তির প্রজা নহি, অতএব হে বন্ধু হে তার্কিক, আমি যখন অসীমে রাজ্যে আছি তখন আমাকে যুক্তির আইনের ভয় দেখাইলে আমি মানিব কেন ? তাই বলিতেছি, তুমি যে কথায় কথায় আমার সঙ্গে তর্ক করিতে আইস, সেটা আমার ভাল লাগে না, এবং তাহাতে কোন কাজও হয় না। তুমি আমি একত্র থাকাটাই অযৌক্তিক, কারণ, তোমাতে আমাতে কোন যোগই নাই ! তোমাকে আমি হীন বলিতেছি না, তুমি হয়ত মস্ত লোক, তুমি হয়ত রাজা, কিন্তু শাঙ্গ রব দুষ্যস্তকে যেরূপ চক্ষে দেখিয়াছিলেন আমিও হয়ত তোমাকে সেইরূপ চক্ষে দেখিব :– “অভ্যক্তমিব স্বাতঃ, শুচিরশুচিমিব, প্রবুদ্ধইব স্থপ্তম্” ইত্যাদি যুক্তির সৈন্য লইয়া তুমি তোমার নিজ রাজ্যে একজন দোদগু-প্রতাপ লোক, উহারই সাহায্যে তুমি কত রাজ্য অধিকার করিলে, কত রাজ্য ধ্বংস করিলে, কিন্তু আমার বিস্তৃত রাজ্যের এক তিলও তুমি কাড়িয়া লইতে পার না। তুমি আমাকে হাজার চোখ রাঙাও না কেন আমি ডরাই না। আমার অধিকারে আসিবার ক্ষমতা তুমি হারাইয়াছ, কিন্তু তোমার অধিকারে আমি অনায়াসেই যাইতে পারি। তোমাতে আমাতে বিস্তর প্রভেদ । আমার তার্কিক বন্ধু এই বলিয়া জামার নিনা করেন যে, আমি এক সময়ে যাহা