পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বন-ফুল “সে কি কথা শুধাইছ বিপিনরমণী । ভালবাসি কিনা আমি তোমারে কমলে ? পৃথিবী হাসিয়া যে লো উঠিবে এখনি ! কলঙ্ক রমণী নামে রটিবে তা হ’লে ? ও কথা শুধাতে আছে ? ও কথা ভাবিতে আছে ! ওসব কি স্থান দিতে আছে মনে মনে ? বিজয় তোমার স্বামী বিজয়ের পত্নী তুমি সরলে ! ও কথা তবে শুধাও কেমনে ? তবুও শুধাও যদি দিব না উত্তর !— হৃদয়ে যা লিখা আছে দেখাবো না কারো কাছে, হৃদয়ে লুকান রবে আমরণ কাল! রুদ্ধ অগ্নিরাশিসম দহিবে হৃদয় মম ছিড়িয়া খুড়িয়া যাবে হৃদিগ্রন্থিজাল । যদি ইচ্ছা হয় তবে লীলা সমাপিয়া ভবে শোণিতধারায় তাহা করিব নিৰ্ব্বাণ । নহে অগ্নিশৈলসম জলিবে হৃদয় মম যত দিন দেহমাঝে রহিবেক প্রাণ ! ষে তোমারে বন হতে এনেছে উদ্ধারি যাহারে করেছ তুমি পাণি সমর্পণ প্রণয় প্রার্থনা তুমি করিও তাহারি— তারে দিও যাহা তুমি বলিবে আপন! চাই না বাসিতে ভাল, ভাল বাসিব না। দেবতার কাছে এই করিব প্রার্থনা— বিবাহ করেছ বারে স্বখে থাক লয়ে তারে বিধাতা মিটান তব মুখের কামনা ।” bア〉