পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী পড়ি দেয় সমূদয় জগতের পরে, সকলি দেখায় যেন রহস্তে পূরিত ; সমস্ত জগং যেন স্বপ্নের মতন ; ওই স্তব্ধ নদীজলে চন্দ্রের আলোকে পিছলিয়া চলিতেছে যেমন তরণী, তেমনি মুনীল ওই আকাশসলিলে ভাসিয়া চলেছে যেন সমস্ত জগৎ ; সমস্ত ধরারে ষেন দেখিয়া নিদ্রিত, একাকী গম্ভীর-কবি নিশাদেবী ধীরে তারকার ফুলমাল জড়ায়ে মাথায়, জগতের গ্রন্থে কত লিখিছে কবিতা । এইরূপে সেই কবি ভাবিত কত কি । হৃদয় হইল তার সমুদ্রের মত, সে সমূত্রে চন্দ্র সূৰ্য্য গ্রহ তারকার প্রতিবিম্ব দিবানিশি পড়িত থেলিত, সে সমূদ্র প্রণয়ের জোছনা-পরশে লঙ্ঘিয়া তীরের সীমা উঠিত উথলি, সে সমুত্র আছিল গো এমন বিস্তৃত সমস্ত পৃথিবীদেবী, পারিত বেষ্টিতে নিজ স্নিগ্ধ আলিঙ্গনে। সে সিন্ধু-হৃদয়ে ছরস্ত শিশুর মত মুক্ত সমীরণ হু হু করি দিবানিশি বেড়াত খেলিয়া । নিঝরিণী, সিন্ধুবেলা, পৰ্ব্বতগহবর, সকলি কবির ছিল সাধের বসতি । তার প্রতি তুমি এত ছিলে অমুকুল কল্পনা ! সকল ঠাই পাইত শুনিতে তোমার বীণার ধ্বনি, কখনো শুনিত প্রস্ফুটিত গোলাপের হৃদয়ে বসিয়া বীণা লয়ে বাজাইছ অক্ষুট কি গান। কনককিরণময় উষার জলদে