পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবি-কাহিনী বন হোতে ফল মূল আপনি তুলিয়া দিব, নিঝর হইতে তুলি আনিব সলিল, যতনে পর্ণের শয্যা দিব আমি বিছাইয়া, স্বখনিদ্রা-কোলে সেথা লভিবে বিরাম, আমার বীণাটি লয়ে গান শুনাইব কত, কত কি কথায় দিন যাইবে কাটিয়া । হরিণশাবক এক আছে ও গাছের তলে, সে যে আসি কত খেল খেলিবে পথিক । দূরে সরসীর ধারে আছে এক চারু কুe, তোমারে লইয়া পান্থ দেখাব সে বন । কত পাখী ডালে ডালে সারাদিন গাইতেছে, কত যে হরিণ সেথা করিতেছে খেলা । আবার দেখাব সেই অরণ্যের নিঝরিণী, আবার নদীর ধারে লয়ে যাব আমি, পাখী এক অাছে মোর সে ষে কত গায় গান— নাম ধোরে ডাকে মোরে 'নলিনী "নলিনী’ । ষা আছে আমার কিছু সব আমি দেখাইব, সব আমি শুনাইব যত জানি গান— আসিবে কি পান্থ ওই বনের কুটারমাঝে ?” এতেক শুনিয়া কবি চলিল কুটীরে । কি মুখে থাকিত কবি, বিজন কুটীরে সেই frন গুলি কেটে যেত মুহূৰ্ত্তের মত— কি শাস্ত সে বনভূমি, নাই লোক নাই জন, শুধু সে কুটার খানি আছে এক ধারে । জাধার তরুর ছায়ে— নীরব শাস্তির কোলে দিবস ৰেন রে সেথা রহিত ঘুমায়ে । পাখীর অস্ফুট গান, নিঝরের ঝরঝর স্তব্ধতারে আরো যেন দিত মিষ্ট করি । আগে এক দিন কবি মুগ্ধ প্রকৃতির রূপে অরণ্যে অরণ্যে একা করিত ভ্ৰমণ, Sዓ