পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 ՖԵ- রবীন্দ্র-রচনাবলী নীরদ । তুমি কেবল এর সৌন্দৰ্য্য দেখছ— আমি আরো অনেক দেখতে পাচ্চি । এই বাগানের প্রত্যেক গাছের ছায়ায় প্রত্যেক লতাকুঞ্জে জামার জীবনের এক একটি দিন, এক একটি মুহূৰ্ত্ত বসে রয়েচে ! বাগানের চার দিকে তারা সব ঘিরে রয়েচে । তারা কি আমাকে দেখে আজ চিনতে পারচে ? অপরিচিত লোকের মত আমাকে তারা কি আজ কৌতুহলদৃষ্টিতে চেয়ে দেখচে । এমন এক কাল গিয়েচে, যখন প্রতিদিন আমি এই বাগানে আসতুম, গাছপালাগুলি প্রতিদিন আমার জন্তে ৰেন অপেক্ষা ক’রে থাকত, আমি এলে আমাকে যেন এস এস বলে ডাকত। আজ কি তারা আর আমাকে সে রকম ক’রে ডাকচে ? তারা হয়ত বলচে, তুমি কে এখেনে এলে ? ও কি নীরজ, তোমার মুখখানি অমন মলিন হয়ে এল কেন ? নীরজা । প্রিয়তম, তোমার সেই পুরণে দিনগুলির মধ্যে আমি ত একেবারেই ছিলুম না! এমন এক দিন ছিল যখন তুমি আমাকে একেবারেই জানতে না, একেবারেই আমি তোমার পর ছিলুম– তখন যদি কেউ গল্পচ্ছলে আমার কথা তোমার কাছে বলত তুমি হয়ত একটিবার মন দিয়ে শুনতে না, যদি কেউ বলত আমি ম’রে গেছি, তোমার চোখে একটি ফোটা জল পড়ত না ! এককালে-ৰে আমি তোমার কেউই ছিলুম না এ মনে করলে কেমন প্রাণে ব্যথা বাজে ! অনস্তকাল হ’তে আমাদের মিলন হয় নি কেন ? নীরদ । কেন হয় নি নীরজা ? এই মধুর গাছপালাগুলি তোমার স্থতির সঙ্গে কেন জড়িয়ে ৰায় নি ? অার এক জনের কথা কেন মনে পড়ে ? আহা, যদি সেই জীবনের প্রভাতকালে তোমার ঐ প্রশাস্ত মুখখানি দেখতে পেতেম ! তোমার এই উদার মমতা, গভীর প্রেম, অতলস্পর্শ হৃদয়— নীরজা। থাক্ থাকু ওসব কথা থাকৃ— ঐ বুঝি সব গ্রামের লোকের আসচে! ঐ শোন বঁাশি বেজে উঠেচে ! তবে বুঝি উৎসব জারভ হ’ল ! এখন আর জামাদের এ মলিন মুখ শোভা পায় না ! এস আমরাও এ উৎসবে ৰোগ দিই। नौब्रम ! ई छज ।। ७कü श्रांन शाहे । আমার বড় ইচ্ছে এখনি একবার নলিনী এসে তোমাকে দেখে ! তোমার সঙ্গে তার কতখানি প্রভেদ ! সে গাছের ফুল, জার তুমি গাছের ছায়া ! সে স্থ দণ্ডে শোভা, আর তুমি চিরকালের আশ্রয়। g নীরজা। দেখ দেখ, ছায়ার মত শীর্ণ মলিন ও রমণী কে ? নীরদ । ( চমকিয় ) তাই ত, ও কে ?