পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৪৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8& 8 রবীজ-রচনাবলী পাপিয়ার ধ্বনি শুনি কেহ হাসিমুখে প্রতিধ্বনিরমণীরে জাগায় কৌতুকে ! শুকতারা প্রভাতের ললাটে ফুটিল, পুরবের দিকৃদেবী জাগিয়া উঠিল। লোহিত কমলকরে পুরবের দ্বার খুলিয়া, সিন্দুর দিল সীমস্তে উযার । মাজি দিয়া উদয়ের কনকসোপান, তপনের সারথিরে করিল আহবান । সাগর-উন্মির শিরে সোনার চরণ ছু য়ে ছুঁয়ে নেচে গেল দিকৃবালাগণ । পূরবদিগন্ত-কোলে জলদ গুছায়ে ধরণীর মুখ হতে আঁধার মুছায়ে, বিমল শিশিরজলে ধুইয়। চরণ, নিবিড় কুস্তলে মাখি কনককিরণ, সোনার মেঘের মত আকাশের তলে, কনককমলসম মানসের জলে ভাসিতে লাগিল ষত দিকৃ-বালাগণে— উলসিত তন্থখানি প্রভাতপবনে । ওই হিমগিরি-’পরে কোন দিকৃবালা রঞ্জিছে কনককরে নীহারিকামালা ! নিভৃতে সরলীজলে করিতেছে স্নান, ভাসিছে কমলবনে কমলবয়ান । ভীরে উঠি মালা গাথি শিশিরের জলে পরিছে তুষারশুভ্র স্বকুমার গলে । ওদিকে দেখেছ ওই সাহারা-প্রাস্তরে, মধ্যে দিকৃদেবী শুভ্র বালুকার পরে। অঙ্গ হতে ছুটিতেছে জলন্ত কিরণ, চাহিতে মুখের পানে বলসে নয়ন । আঁকিছে বালুকাপুঞ্জে শত শত রবি, আঁকিছে দিগন্তপটে মরীচিকা-ছবি ।