পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবি-কাহিনী প্রকৃতির রূপচ্ছটা দ্বিগুণ করিয়া ; সে না হোলে অমাবস্তানিশির মতন সমস্ত জগৎ হোত বিষণ্ণ র্তাধার। জ্যোংক্ষায় নিমগ্ন ধরা, নীরব রজনী । অরণ্যের অন্ধকারময় গাছগুলি মাথার উপরে মাখি রজত জোছনা, শাখায় শাখায় ঘন করি জড়াজড়ি, কেমন গম্ভীর ভাবে রোয়েছে দাড়ায়ে । হেথায় ঝোপের মাঝে প্রচ্ছন্ন আঁধার, হোথায় সরসীবক্ষে প্রশাস্ত জোছনা । নভপ্রতিবিম্বশোভী ঘুমস্ত সরসী চন্দ্র তারকার স্বপ্ন দেখিতেছে যেন । লীলাময়ী প্রবাহিণী চলেছে ছুটিয়া, লীলাভঙ্গ বুকে তার পাদপের ছায়। ভেঙ্গে চুরে কত শত ধরিছে মূরতি । গাইছে রজনী কিবা নীরব সঙ্গীত । কেমন নীরব বন নিস্তৰু গম্ভীর— শুধু দূর-শৃঙ্গ হোতে ঝরিছে নিঝরি, শুধু এক পাশ দিয়া সঙ্কুচিত অতি তটিনীটি সর সর যেতেছে চলিয়া । অধীর বসন্তবায়ু মাঝে মাঝে শুধু ঝরঝরি কাপাইছে গাছের পল্লব । এহেন নিস্তব্ধ রাত্রে কত বার আমি গম্ভীর অরণ্যে এক কোরেছি ভ্ৰমণ । ক্ষিপ্ত রাত্রে গাছপালা ঝিমাইছে যেন, ছায়া তার পোড়ে আছে হেথায় হোথায় । দেখিয়াছি নীরবতা যত কথা কয় প্রাণের মরম-তলে, এত বেহ নয় । ૨છે