পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অ ১০ কবি-কাহিনী জানি না কেমন কোরে বালার বুকের মাঝে সহসা কেমন ধার লেগেছে আঘাত— আর সে গায় না গান, বসন্ত ঋতুর অস্তে পাপিয়ার কণ্ঠ যেন হোয়েছে নীরব । আর সে লইয়া বীণা বাজায় না ধীরে ধীরে, আর সে ভ্রমে না বালা কাননে কাননে । বিজন কুটীরে শুধু পরণশয্যার পরে একেলা আপন মনে রয়েছে শুইয়া । যে বালা মুহূৰ্ত্তকাল স্থির না থাকিত কহু, শিখরে নিঝরে বনে করিত ভ্রমণ— কখনো তুলিত ফুল, কখনো গাথিত মালা, কখনো গাইত গান, বাজাইত বীণা— সে আজ এমন শাস্ত, এমন নীরব স্থির । এমন বিষন্ন শীর্ণ সে প্রফুল্ল মুখ । এক দিন, দুই দিন, যেতেছে কাটিয়া ক্রমে— মরণের পদশব্দ গণিছে সে যেন ! আর কোন সাধ নাই, বাসনা রয়েছে শুধু কবিরে দেখিয়া যেন হয় গো মরণ । এ দিকে পৃথিবী ভ্ৰমি সহিয়া ঝটিক। কত ফিরিয়া আসিছে কবি কুটীরের পানে, মধ্যাহ্নের রৌদ্রে যথা জলিয়া পুড়িয়া পাখী সন্ধ্যায় কুলায়ে তার আইসে ফিরিয়া । বহুদিন পরে কবি পদাপিল বনভূমে, বৃক্ষলতা সবি তার পরিচিত সখা । তেমনি সকলি অাছে, তেমনি গাইছে পাখী, তেমনি বহিছে বায়ু ঝর ঝর করি । অধীরে চলিল কবি কুটীরের পানে— হুয়ারের কাছে গিয়া কুয়ারে আঘাত দিয়া छांकिल जर्षौद्र ऋद्र, मलित्रौ ! बलिनौ ! কিছু নাই সাড়া শব্দ, দিল না উত্তর কেহ, מס