পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৫২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

83b* রবীন্দ্র-রচনাবলী আঁধারকুম্ভল তোর মহাশূন্য জুড়িয়। প্রলয়ের কালঝড়ে বেড়াইবে উড়িয়া ! অন্ধকারে দিশাহারা কম্পমান গ্রহ তারা চরণের তলে আসি পড়িবেক গুড়ায়ে, দিবি সেই বিশ্বচূর্ণ নিঃশ্বাসেতে উড়ায়ে । এমনি রহিব স্তন্ধ ওই মুখে চাহিয়া— দেখিব হৃদয়মাঝে কেমনে ও বামা নাচে উন্মাদিনী, প্রলয়ের ঘোর গীতি গাহিয়া ! জগতের হাহাকার যবে স্তন্ধ হইবে— ষোর স্তৰু, মহাস্তব্ধ, মহাশূন্ত রহিবে আঁধারের সিন্ধুরবে অনস্তেরে গ্রাসিয়া— সে মহান জলধির নাই উৰ্ম্মি, নাই তীর— সেই স্তন্ধ সিন্ধু ব্যাপি রব আমি ভাসিয়া ! তখনো র’বি কি তুই এই বুকে দাড়ায়ে, ভাবনাবাসনাহীন এই বুক মাড়ায়ে ? ভগ্নতরী গাথা প্রথম সর্গ ডুবিছে তপন, আসিছে আঁধার, দিবা হল অবসান— ঘুমায় সাঝের সাগর, করিয়া কনককিরণ পান । অলস লহরী তটের চরণে বুমে পড়িতেছে দুলি,