রবীন্দ্র-রচনাবলী অতি ক্লেশে সেথা উঠি বসিয়া রহিত ছুটি, সায়াহকিরণ জলে করিত গো ঝিকিমিকি । লহরীর শৈল-’পরে শৈবালগুলির তরে দিন রাত্রি খুজিতেছে নিকেতন শিলাসার । ফুল-ভরা গুল্মগুলি সলিলে পড়েছে ঝুলি, তরঙ্গের সাথে সাথে ওঠে পড়ে শতবার । বিভলা মেদিনীবালা জোছনামদিরা-পানে, হাসিছে সরসীখানি কাননের মাঝখানে, সুরেশ যতনে অতি বাধি তরুশাখাগুলি নৌকা নিরমিয়া এক সরসে দিয়াছে খুলি— চড়ি সে নৌকার পরে জ্যোৎস্নাস্বগু সরোবরে সুরেশ মনের স্বখে ভ্ৰমিত গো ফিরি ফিরি, ললিতা থাকিত শুয়ে কোলে তার মাথা খুয়ে, কখন বা মধুমাখা গান গেয়ে ধরি ধীরি। কথন বা সায়াহ্নের বিষন্ন কিরণজালে, অথবা জোছনা যবে কাপে বকুলের ভালে, মৃদু মৃদু বসস্তের স্নিগ্ধ সমীরণ লাগি, সহসা ললিতাহদি আকুলি উঠিত যদি, সহসা ছয়েক কথা স্মরণে উঠিত জাগি, সহসা একটি শ্বাস বাহিরিত আনমনে, फूहेछि च्षट्धंद्र cब्रथl cमथो मिड फूमब्रटनঅমনি স্বরেশ আসি ধরি তার মুখখানি কহিত করুণ স্বরে কত অাদরের বাণী । মুছাইত আঁথিধারা স্বতন করিয়া অতি, শরতমেঘের মত হৃদয়-আঁধার যত মুহূৰ্ত্তে ছুটিত আর ফুটিত হাসির জ্যোতি । অমনি সে স্বরেশের কাধে মুখ লুকাইয়। অাধে। কাদি অাধো হাসি হৃদয়ের ভাররাশি সোহাগের পারাবারে দিত সব বিসজিয়া ।
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৫৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।