পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৫৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৈশবসঙ্গীত a >> পঞ্চম সর্গ নারিকেল-তরুকুঞ্জে বসিয়া দোহায় একদা সেবিতেছিল প্রভাতের বায়— সহসা দেখিল চাহি প্রাণপণে দাড় বাহি তরণী আসিছে এক সে দ্বীপের পানে, দেখিয় দোহার হিয়া উঠিল গে৷ উথলিয়া বিস্ময়হরব আর নাহি ধরে প্রাণে । হরযে ভাবিল দোহে দেশে যাবে ফিরে, কুটার বাধিবে এক বিপাশার তীরে । , দুখ শোক ভুলি গিয়া একত্রে দুইটি হিয়া স্বখে জীবনের পথে করিবে ভ্রমণ, একত্রে দেখিবে দোহে স্বথের স্বপন । উঠিল তরণী-’পরে, অন্থকূলবায়ুভরে স্বদেশে করিল অ্যাগমন— বাধিয়া পরপশালা না জানিয়া কোন জালা করিতেছে জীবনযাপন । নিঝর কানন নদী দ্বীপের কুটীর যদি তাহাদের পড়িত স্মরণে, ছুটিতে মগন হয়ে অতীতের কথা লয়ে ফুরাতে নারিত সারাক্ষণে আধ’ ঘুমঘোরে প্রাতে পল্পবমৰ্ম্মর-সাথে শুনি বিপাশার কলস্বর— স্বপনে হইত মনে দূর সে দ্বীপের বনে শুনিতেছে নিঝ রবাৰ র । দ্বীপের কুটারখানি কল্পনায় মনে আনি ভাবিত সে শূন্ত আছে পড়ি, ভগ্ন ভিতে উঠে লতা, গৃহসজা হেথা হোখা প্রাঙ্গণে যেতেছে গড়াগড়ি, হয়ত গে৷ কাটাগাছে এত দিনে বিরিয়াছে ললিতার সাধের কামন— 8סול זיס