পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী বৰ্ত্তমান মিশিতেছে অতীতসমূত্রে । অস্ত যাইতেছে নিশি, আসিছে দিবস, দিবস নিশার কোলে পড়িছে ঘুমায়ে । এই সময়ের চক্র ঘুরিয়া নীরবে পৃথিবীরে মানুষেরে অলক্ষিতভাবে পরিবর্তনের পথে যেতেছে লইয়া, কিন্তু মনে হয় এই হিমাদ্রির বুকে তাহার চরণ-চিহ্ন পড়িছে না যেন। কিন্তু মনে হয় যেন আমার হৃদয়ে দুর্দাস্ত সময়স্রোত অবিরামগতি, নূতন গড়ে নি কিছু, ভাঙ্গে নি পুরাণে । বাহিরের কত কি ষে ভাঙ্গিল চুরিল, বাহিরের কত কি যে হইল নূতন, কিন্তু ভিতরের দিকে চেয়ে দেখ দেখি— আগেও আছিল যাহা এখনো তা আছে, বোধ হয় চিরকাল থাকিবে তাহাই ! বরষে বরষে দেহ যেতেছে ভাঙ্গিয়া, কিন্তু মন আছে তৰু তেমনি অটল । নলিনী নাইক বটে পৃথিবীতে জার, নলিনীরে ভালবাসি তবুও তেমনি । যখন নলিনী ছিল, তখন যেমন তার হৃদয়ের মূৰ্ত্তি ছিল এ হৃদয়ে, এখনো তেমনি তাহ রয়েছে স্থাপিত । এমন অস্তরে তারে রেখেছি লুকায়ে, মরমের মর্শস্থলে করিতেছি পূজা, সময় পারে না সেথা কঠিন আঘাতে ভাঙ্গিবারে এ জনমে সে মোর প্রতিমা, হৃদয়ের আদরের লুকানো সে ধন । ভেবেছিন্থ এক বার এই-ষে বিবাদ নিদারুণ তীব্ৰ লোতে বহিছে হৃদয়ে