পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ ᎼbᏉ রবীন্দ্র-রচনাবলী চুনকালি পড়বে। বংশের লজ্জ। প্রকাশ করব না—অন্তৰ্বামী তোমার বিচার করবেন । ইশা খা । কী হয়েছে বাবা । এর মধ্যে একটা রহস্ত আছে। শিলা কখনো জলে ভাসে না, বানরে কখনো সংগীত গায় না। বাবা ইন্দ্রকুমার, ঠিক কথা বলে তো কী হয়েছে ? তুণ বদল হয় নি তো ? রাজধর । কখনোই না । পরীক্ষা করে দেখো । ইশা খা । তাই তো দেখছি—তুণ তো ঠিকই আছে। আচ্ছ, বাবা ইন্দ্রকুমার, সত্য করে বলো, এর মধ্যে তোমার অস্ত্রশালায় কেউ কি প্রবেশ করেছিল ? ইন্দ্রকুমার। সে-কথায় প্রয়োজন নেই খ সাহেব । ইশা খা। ঠিক করে বলে। বাবা—তুমি নিশ্চয় জান কেউ তোমার অস্ত্রশালায় গিয়ে তোমার সঙ্গে তীর বদল করেছে । Q ইন্দ্রকুমার । চুপ করে থ সাহেব । ও-কথা থাক । ইশ। খা । তাহলে তুমি হার মানছ ? ইন্দ্রকুমরি। হঁ। আমি হার মানছি। Q ইশা খা । শাবাশ বাবা শাবাশ । তুমি রাজার ছেলে বটে। মহারাজ, কোথাও একটা কিছু অন্তায় হয়ে গেছে, সে-কথাটা প্রকাশ হচ্ছে না। আর-এক বার পরীক্ষা না হলে ঠিকমত মীমাংসা হতে পারবে না । রাজধর । খা সাহেব, অন্যায় আর কিছু নয়, আমার জেতাই অন্যায় হয়েছে । কিন্তু তাই বলে আবার পরীক্ষার অপমান আমি স্বীকার করতে পারব না। অামার জিত হওয় যদি অন্যায় হয়ে থাকে সে-অন্যায়ের সহজ প্রতিকার আছে । আমি পুরস্কার চাই নে, মধ্যম কুমারকেই পুরস্কার দেওয়া হ’ক । মহারাজ। সে-কথা আমি বলতে পারি নে—তীরে যখন তোমার নাম লেখা আছে তখন তোমাকে পুরস্কার দিতেই আমি বাধ্য। এই তুমি নাও । তলোয়ার প্রদান [ ”حیے রাজধর । পুরস্কার আমি শিরোধার্য করে নিচ্ছি কিন্তু আমার এই সৌভাগ্যে কারও মন যখন প্রসন্ন হচ্ছে না তখন এই তলোয়ার আমি দাদা ইন্দ্রকুমারকেই দিলুম। [ ইন্দ্রকুমারের দিকে তলোয়ার অগ্রসরকরণ ইন্দ্রকুমার । (তলোয়ার মাটিতে নিক্ষেপ করিয়া ) ধিক ! তোমার হাত থেকে এ পুরস্কারের অপমান গ্রহণ করবে কে ? ইশা খা । ( ইন্দ্রকুমারের হাত ধরিয়া) কী । ইজকুমার, মহারাজের দত্ত