পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৪

> Se রবীন্দ্র-রচনাবলী निष्ठौ षश्ल প্রথম দৃশ্য রাজধরের শিবির। রাজধর ও ধুরন্ধর ধুরন্ধর । তুমি পাঁচ হাজার সৈন্ত নিয়ে তফাতে থাকবে না কি ? রাজধর। ই—ইশা খার কাছে আমি এই প্রস্তাব পাঠিয়েছিলুম। ধুরন্ধর । সে তো আমি জানি ; আমি তখন সেখানে উপস্থিত ছিলুম। তাই নিয়ে অনেক কথা বার্তা হয়ে গেল । রাজধর । কী-রকম ? ধুরন্ধর । প্রথমেই তো ইন্দ্রকুমার অট্টহাস্য করে উঠলেন—তিনি বললেন, রাজধরের যুদ্ধপ্রণালীটাই ওই-রকম—যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বহুদূরে থেকেই তিনি যুদ্ধ করতে ভালোবাসেন । | রাজধর । সে-কথা ঠিক । ক্ষেত্র হতে যুদ্ধ করে মজুররা—দূরে থেকে যে যুদ্ধ করতে পারে সেই যোদ্ধা । ইশা খ। কী বললেন ? ধুরন্ধর । তোমার উপর তার বিশ্বাস কী-রকম সে তো তুমি জানই—তুমি যদি পায়ে ধরতে যাও তাহলেও তিনি সন্দেহ করেন নিশ্চয় জুতোজোড়াটা তোমার সরাবার মতলব আছে । তাই ইশা খা বললেন, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে রাজধর তফাতে থাকতে চান সেটা তার পক্ষে আশ্চৰ্য নয়, কিন্তু পাচ হাজার সৈন্ত সঙ্গে রাখতে চান সেইটে আমার ভালো ঠেকছে না । - রাজধর। যুবরাজ কিছু বললেন না ? ধুরন্ধর । যুবরাজ কাউকে যে সন্দেহ করবেন সে-পরিমাণ বুদ্ধি ভগবান তাকে দেন নি—এমন কি, তুমি যে তুমি, তোমার উপরেও তার সন্দেহ হয় না । রাজধর। দেপো ধুরন্ধর, দাদার কথা তুমি অমন করে ব’লে না। ধুরন্ধর । ও: ওই জায়গাটা তোমার একটু নরম আছে সেটা মাঝে মাঝে ভুলে যাই । যা হ’ক তিনি বললেন—না, না, রাজধরের প্রতি তোমরা অস্তায় অবিচার করছ, তার প্রস্তাবটা তো আমার ভালোই ঠেকছে। যুদ্ধে যদি সংকট উপস্থিত হয় তাহলে তিনি তার সৈন্য নিয়ে আমাদের সাহায্য করতে পারবেন। যুবরাজের অনুরোধেই তো ইশা খা তোমার প্রস্তাবে রাজি হলেন, নইলে তার বড়ো ইচ্ছে ছিল