পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ ৷ রবীন্দ্র-রচনাবলী ū ইন্দ্রকুমার। যুদ্ধ থেকে পালিয়েছ তুমি—তুমি পুরস্কার পাবে কিসের ! এ মুকুট যুবরাজ পরবেন। রাজধর । আমি জিতে এনেছি আমিই পরব। যুবরাজ। রাজধর ঠিক কথাই বলছেন । ওঁর জয়ের ধন তো উনিই পরবেন। ইশা খা। সেনাপতির আদেশ লঙ্ঘন করে উনি অন্ধকারে শৃগালবৃত্তি অবলম্বন করলেন—আর উনি পরবেন মুকুট । ভাঙা হাড়ির কানা পরে যদি দেশে যান তবেই ওঁকে সাজবে । রাজধর । আমি যদি না থাকতুম ভাঙা হাড়ির কানা তোমাদের পরতে হত । এতক্ষণ থাকতে কোথায় । ইন্দ্রকুমার। যেখানেই থাকি তোমার মতো পালিয়ে থাকতুম না । যুবরাজ। ইন্দ্রকুমার, তুমি অন্তায় বলছ ভাই । সত্য বলতে কি, রাজধর না থাকলে আজ আমাদের বিপদ হত । ইন্দ্রকুমার। কিছু বিপদ হত না । রাজধর সৈন্য লুকিয়ে রেখেই আমাদের বিপদে ফেলবার চেষ্টা করেছিল। রাজধর না থাকলে এ মুকুট আমি যুদ্ধ করে আনতুম। রাজধর চুরি করে এনেছে। দাদা, এ মুকুট এনে আমি তোমাকেই পরাভূম, নিজে পরতুম না। যুবরাজ ! ( রাজধরের প্রতি ) ভাই, তুমিই আজ জিতেছ। তুমি না থাকলে অল্প সৈন্ত নিয়ে আমাদের কী বিপদ হত বলা যায় না। এ মুকুট আমি তোমাকেই পরিয়ে দিচ্ছি। ইন্দ্রকুমার। ( রুদ্ধকণ্ঠে) রাজধর ক্ষত্রিধর্ম লঙ্ঘন করেছে বলে তোমার কাছ থেকে আজ পুরস্কার পেলে—আর আমি যে প্রাণকে তুচ্ছ করে বিপদের মুখে দাড়িয়ে যুদ্ধ করলুম তোমার মুখ থেকে একটা প্রশংসার কথাও গুনতে পেলুম না। এমন কথা তোমার মুখ থেকে আজ শুনতে হল যে, রাজধর না থাকলে কেউ তোমাকে বিপদ হতে উদ্ধার করতে পারত না । কেন দাদা, আমি কি প্রত্যুব থেকে আর সন্ধ্যা পর্যন্ত তোমার চোখের সামনে দাড়িয়ে লড়াই করি নি । আমি কি রণক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়েছিলুম। আমি কি শত্রুসৈন্তের বেষ্টন ছিন্ন করে তোমার সাহায্যের জন্ত আসি নি। কী দেখে তুমি বললে, তোমার স্নেহের রাজধর ছাড়া কেউ তোমাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারত না । যুবরাজ। ভাই, আমি নিজের বিপদের কথা বলছি নে । हेठाकूयॉब्र । थांकु नॉमी, थॉक् । चांद्र किङ्कहे वण८ठ श्tब ना । ब्रांजष८ब्रब्र