পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘরে-বাইরে >も> সেই খাওয়ানো-কর্মটার আড়ালে প্রথম-দেখার সংকোচ অনেকটা কেটে যাবে। কিন্তু খাবার তৈরি হতে আজ দেরি হচ্ছে, প্রায় একটা বেজে গেছে। তাই আমার স্বামী আলাপ করবার জন্তে আমাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। ঘরে ঢুকে প্রথমটা তার মুখের দিকে চাইতে ভারি লজ্জা ঠেকছিল । কোনোমতে সেটা কাটিয়ে জোর করে বলে ফেললুম, আজ খেতে আপনার দেরি হয়ে গেল । তিনি অসংকোচে আমার পাশের চৌকিতে এসে বললেন, দেখুন, অন্ন তো রোজই একরকম জোটে কিন্তু অন্নপূর্ণ থাকেন আড়ালে। আজ অন্নপূর্ণ এলেন, অল্প না হয় श्राज्रां८लझे ब्रझेल । যেমন জোর তার বক্তৃতায় তেমনি ব্যবহারে । একটুও দ্বিধা নেই। সব জায়গাতেই আপন আসনটি অবিলম্বে জিতে নেওয়াই যেন তার অভ্যাস । কেউ কিছু মনে করতে পারে এ-সব তর্ক তার নয় । খুব কাছে এসে বসবার স্বাভাবিক দাবি যেন র্তার আছে, অতএব এতে ষে দোষ দিতে পারে দোষ তারই । আমার লজ্জা হতে লাগল পাছে সনীপবাবু মনে করেন আমি নেহাৎ একটা সেকেলে জড়পদার্থ। মুখের কথা বেশ জলজল করে উঠবে, কোথাও বাধবে না, একএকটা জবাব শুনে তিনি মনে মনে আশ্চর্য হয়ে যাবেন, এ আমার কিছুতেই ঘটে উঠল না । ভিতরে ভিতরে ভারি কষ্ট হতে লাগল—নিজেকে হাজারবার ভংসিনা করে বললুম, কেন ওঁর সামনে এমন হঠাৎ বের হতে গেলুম। কোনোরকম করে খাওয়ানোট হয়ে গেলেই আমি তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছিলুম— তিনি আবার তেমনি নিঃসংকোচে দরজার কাছে এসে আমার পথ অগিলে বললেন, আমায় পেটুক ঠাওরাবেন না, আমি খাবার লোতে এখানে আসি নি। আমার লোভ কেবল আপনি ডেকেছেন বলে । যদি খাওয়ার পরে আমনি পালান তাহলে অতিথিকে ফাকি দেওয়া হবে। এমন সব কথা অত্যন্ত সহজে অত্যন্ত জোরে না বললে ভারি বদমুর লাগত। আমার স্বামী যে ওঁর পরমবন্ধু, আমি যে ওঁর ভাজের মতো। আমি যখন নিজের সঙ্গে লড়াই করে সন্দ্বীপবাবুর প্রবল আত্মীয়তার সমোচ্চ ক্ষেত্রে ওঠবার চেষ্টা করছি, আমার স্বামী আমার বিভ্রাট দেখে আমাকে বললেন, আচ্ছা, তুমি তাহলে তোমার খাওয়া সেরে চলে এস । সন্দীপবাবু বললেন, কিন্তু কথা দিয়ে যান ফাকি দেবেন না। আমি একটু হেসে বললুম, আমি এখনই আসছি। তিনি বললেন, আপনাকে কেন বিশ্বাস করি নে তা বলি। আজ ন-বছর হল لا جسسbr