পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘরে-বাইরে SఅS ঋণশোধের ভার তারই ঘাড়ে। তবু যেন প্রাণপণে বলতে পারি, হে সত্য, তোমারই छम्न छ्”क । আমার পিসতুত বোন মুহুর স্বামী গোপাল কাল এসেছিল তার মেয়ের বিয়ের সাহায্য চাইতে । সে আমার ঘরের আসবাবগুলোর দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবছিল আমার মতো মুখী জগতে আর কেউ নেই। আমি বললুম, গোপাল, মুহুকে ব’লো কাল আমি তার ওখানে খেতে যাব । মুহ আপনার হৃদয়ের অমৃতে গরিবের ঘরটিকে স্বর্গ করে রেখেছে । সেই লক্ষ্মীর হাতের অল্প একবার খেয়ে আসবার জন্তে আমার সমস্ত প্রাণ কঁদিছে । তার ঘরের অভাবগুলিই তার ভূষণ হয়ে উঠেছে । আজ তাকে একবার দেখে আসি গে।—ওগো পবিত্র, জগতে তোমার পবিত্র পায়ের ধুলো আজও একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায় নি । জোর করে অহংকার করে কী করব ? না হয় মাথা হেঁট করেই বললুম আমার গুণের অভাব আছে । পুরুষের মধ্যে মেয়ের যেটা সব-চেয়ে খোজে আমার স্বভাবে হয়তো সেই জোর নেই। কিন্তু জোর কি শুধু আস্ফালন, শুধু খামখেয়াল, জোর কি এইরকম অসংকোচে পায়ের তলায়—কিন্তু এ-সমস্ত তর্ক করা কেন ? ঝগড়া করে তো যোগ্যতা লাভ করা যায় না। অযোগ্য, অযোগ্য, অযোগ্য ! না হয় তাই হল—কিন্তু ভালোবাসার তো মূল্য তাই—সে ষে অযোগ্যতাকেও সফল করে তোলে। যোগ্যের জন্তে পৃথিবীতে অনেক পুরস্কার আছে—আযোগ্যের জন্তেই বিধাত কেৰল এই ভালোবাসাটুকু রেখেছিলেন। একদিন বিমলকে বলেছিলুম তোমাকে বাইরে আসতে হবে । বিমল ছিল আমার ঘরের মধ্যে—সে ছিল ঘরগড় বিমল, ছোটে। জায়গা এবং ছোটো কতকগুলো বাধা নিয়মে তৈরি । তার কাছ থেকে যে-ভালোবাসাটুকু নিয়মিত পাচ্ছিলুম সে কি তার হৃদয়ের গভীর উৎসের সামগ্ৰী, না সে সামাজিক মুনিসিপালিটির বাম্পের চাপে চালিত দৈনিক কলের জলের বাধা বরান্ধের মতো ? আমি লোভী ? বা পেয়েছিলুম তার চেয়ে আকাঙ্ক ছিল আমার অনেক বেশি ? ন, আমি লোভী নই, আমি প্রেমিক। সেই জন্তেই আমি তালা-দেওয়া লোহার সিমুকের জিনিস চাই নি—আমি তাকেই চেয়েছিলুম জাপনি ধরা না দিলে যাকে

    • -سb