পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২8 রবীন্দ্র-রচনাবলী আপিস করে আমাদের মানুষ করেছেন, শেয়ারের গাড়িতেও কখনো চাপেন নি, আমরা হচ্ছি পুরুষানুক্রমে পদাতিক । আমি বললুম, না হয় আমাদের বিষয়কর্মসংক্রাস্ত একটা কাজ নিন। তিনি বললেন, না বাবা, আমাকে তোমাদের বড়োমাতুধির ফদে ফেলো না, আমি মুক্ত থাকতে চাই । র্তার ছেলে এখন এম. এ. পাস করে চাকরি খুজছে। আমি বললুম, আমার এখানে তার একটা কাজ হতে পারে। ছেলেরও সেই ইচ্ছে খুব ছিল। প্রথমে সে তার বাপকে এই কথা জানিয়েছিল, সেখানে সুবিধে পায় নি। তখন লুকিয়ে আমাকে আভাস দেয়। তখনই আমি উৎসাহ করে চন্দ্রনাথবাবুকে বললুম। তিনি বললেন, না, এখানে তার কাজ হবে না—তাকে এতবড়ো হযোগ থেকে বঞ্চিত করাতে ছেলে বাপের উপর খুব রাগ করেছে। সে রেগে পত্নীহীন বুড়ো বাপকে একলা ফেলে রেঙ্গুনে চলে গেল । তিনি আমাকে বারবার বলেছেন, দেখো নিখিল, তোমার সম্বন্ধে আমি স্বাধীন, আমার সম্বন্ধে তুমি স্বাধীন, তোমার সঙ্গে আমার এই সম্বন্ধ। কল্যাণের সম্বন্ধকে অর্থের অনুগত করলে পরমার্থের অপমান করা হয় । এখন তিনি এখানকার এণ্টেন্স স্কুলের হেডমাস্টারি করেন। এতদিন তিনি আমাদের বাড়িতে পর্যন্ত থাকতেন না। এই কিছুদিন থেকে আমি প্রায় সন্ধেবেলায় র্তার বাসায় গিয়ে রাত্রি এগারোট। দুপুর পর্যন্ত নানা কথায় কাটিয়ে আসছিলুম। বোধ হয় ভাবলেন তার ছোটে ঘর এই ভাদ্রমাসের ওমটে আমার পক্ষে ক্লেশকর, সেইজন্তেই তিনি নিজে আমার এখানে আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্চর্য এই, বড়োমানুষের পরেও তার গরিবের মতোই সমান দয়া, বড়োমানুষের দুঃখকেও তিনি অবজ্ঞা করেন না । বাস্তবকে যত একান্ত করে দেখি ততই সে আমাদের পেয়ে বসে—আভাসমাত্রে সত্যকে যখন দেখি তখনই মুক্তির হাওয়া গায়ে লাগে। বিমল আজ আমার জীবনে সেই বাস্তবকেই এত বেশি তীব্র করে তুলেছে যে, সত্য আমার পক্ষে আজ আচ্ছন্ন হবার জো হয়েছে। তাই বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডে কোথাও আমার দুঃখের আর সীমা খুজে পাচ্ছি নে। তাই আজ আমার এতটুকু ফাককে লোকলোকাস্তরে ছড়িয়ে দিয়ে শরতের সমস্ত সকাল ধরে গান গাইতে বসেছি, ७ छब्रां बांघब्र भांश् छfप्रब्र পুস্ত মন্দির মোর ।