পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘরে-বাইরে ミWとQ তখনই সেটা সাংঘাতিক দৌরাত্ম্যের আকার ধরে। বউ হয়ে যে মার খায় শাশুড়ী হয়ে সে-ই সব চেয়ে বড়ো মার মারে। সমাজে যে-মানুষ মাথা হেঁট করে থাকে সে যখন বরযাত্র হয়ে বেরোয় তখন তার উৎপাতে মানী গৃহস্থের মান রক্ষা করা অসাধ্য। ভয়ের শাসনে তোমরা নির্বিচারে কেবলই সকল-তাতেই সকলকে মেনে এসেছ, সেইটেকেই ধর্ম বলতে শিখেছ, সেইজন্তেই আজকে অত্যাচার করে সকলকে মানানোটাকেই তোমরা ধর্ম বলে মনে করছ। অামার লড়াই দুর্বলতার ওই নিদারুণভার সঙ্গে । আমার এ-সব কথা অত্যন্ত সহজ কথা—সরল লোককে বললে বুঝতে তার মুহূর্তমাত্র দেরি হয় না, কিন্তু আমাদের দেশে যে-সব এম. এ. ঐতিহাসিক বুদ্ধির প্যাচ কষছে সত্যকে পরাস্ত করবার জন্তেই তাদের প্যাচ । এদিকে পঞ্চুর জাল মামীকে নিয়ে ভাবছি। তাকে অপ্রমাণ করা কঠিন। সত্য ঘটনার সাক্ষীর সংখ্যা পরিমিত, এমন কি, সাক্ষী না থাকাও অসম্ভব নয়, কিন্তু যেঘটনা ঘটে নি জোগাড় করতে পারলে তার সাক্ষীর অভাব হয় না । আমি যে মৌরসি স্বত্ব পঞ্চুর কাছ থেকে কিনেছি সেইটে কাচিয়ে দেবার এই ফন্দি । আমি নিরুপায় দেখে ভাবছিলুম পঞ্চুকে আমার নিজ এলাকাতেই জমি দিয়ে ঘরবাড়ি করিয়ে দিই । কিন্তু মাস্টারমশায় বললেন, অন্যায়ের কাছে সহজে হার মানতে পারব না । আমি নিজে চেষ্টা দেখব । আপনি চেষ্টা দেখবেন ? ई| ट्रांत्रेि । এ-সমস্ত মামলা-মকদ্দমার ব্যাপার—মাস্টারমশায় যে কী করতে পারেন বুঝতে পারলুম না। সন্ধ্যাবেলায় ষে-সময়ে রোজ আমার সঙ্গে তার দেখা হয় সেদিন দেখা হল না। খবর নিয়ে জানলুম, তিনি তার কাপড়ের বাক্স আর বিছানা নিয়ে বেরিয়ে গেছেন, চাকরদের কেবল এইটুকু বলে গেছেন, তার ফিরতে দু-চার দিন দেরি হৰে । আমি ভাবলুম, সাক্ষী সংগ্রহ করবার জন্তে তিনি পঞ্চুদের মামার বাড়িতেই বা চলে গেছেন। তা যদি হয় আমি জানি সে তার বৃথা চেষ্টা হবে। জগদ্ধাত্রী পুজো, মহরম এবং রবিবারে জড়িয়ে তার ইস্কুলের কয়দিন ছুটি ছিল তাই ইস্কুলেও তার খোজ পাওয়া গেল না । হেমস্তের বিকেলের দিকে দিনের আলোর রঙ যখন ঘোলা হয়ে আসতে থাকে তখন ভিতরে ভিতরে মনেরও রঙ বদল হয়ে আসে । সংসারে অনেক লোক আছে যাদের মনটা কোঠাবাড়িতে বাস করে। তারা “ৰাহির” বলে পদার্থকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ করে চলতে পারে। আমার মনটা আছে যেন গাছতলায়। বাইরের 98\بسہ جb