পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘরে-বাইরে &ግ› তাড়াতাড়ি খোপা বাধতে বসেছিলুম ! লজ। লজ্জা ! লজ্জা ! মেজোরানীর ঘরের সামনে দিয়ে যাবার সময় তিনি বলে উঠলেন, কী লো ছোটোরানী, খোপাট যে মাথা ডিঙিয়ে লাফ মারতে চায়, মাথাটা ঠিক আছে তো ? সেদিন বাগানে স্বামী আমাকে অনায়াসে বললেন, তোমাকে ছুটি দিলুম। ছুটি কি এতই সহজে দেওয়া যায় কিংবা নেওয়া যায় ? ছুটি কি একটা জিনিস ? ছুটি ষে ফাকা। মাছের মতো আমি যে চিরদিন আদরের জলে সাতার দিয়েছি—হঠাৎ আকাশে তুলে ধরে যখন বললে, এই তোমার ছুটি—তখন দেখি এখানে আমি চলতেও পারি নে বঁাচতেও পারি নে। আজ শোবার ঘরে যখন ঢুকি তখন শুধু দেখি আসবাব, শুধু আলন, শুধু আয়না, শুধু খাট—এর উপরে সেই সর্বব্যাপী হৃদয়টি নেই। রয়েছে ছুটি, কেবল ছুটি, একটা ফাক। ঝরনা একেবারে শুকিয়ে গেল, পাথর আর কুড়িগুলো বেরিয়ে পড়েছে। অাদর নেই, আসবাব । এ জগতে সত্য আমার পক্ষে কোথায় কতটুকু টিকে আছে, সে-সম্বন্ধে হঠাৎ যখন এতবড়ো একটা ধাধা লাগল তখন আবার দেখা হল সন্দীপের সঙ্গে । প্রাণের সঙ্গে প্রাণের ধাক্কা লেগে সেই আগুন তো আবার তেমনি করেই জলল । কোথায় মিথ্যে । এ যে ভরপুর সত্য—দুই কুল ছাপিয়ে-পড়া সত্য। এই যে মানুষগুলো সব ঘুরে বেড়াচ্ছে, কথা কচ্ছে, হাসছে—ওই যে বড়োরানী মালা জপছেন, মেজোরানী থাকে দাসীকে নিয়ে হাসছেন, পাচালির গান গাচ্ছেন, আমার ভিতরকার ७ई আবির্ভাব যে এই-সমস্তর চেয়ে হাজার গুণে সত্য। সন্দীপ বললেন, পঞ্চাশ হাজার চাই । আমার মাতাল মন বলে উঠল, পঞ্চাশ হাজার কিছুই নয়। এনে দেব। কোথায় পাব, কী করে পাব, সেও কি একটা কথা। এই তো আমি নিজে এক মুহূর্তে কিছু-না থেকে একেবারে সব-কিছুকে যেন ছাড়িয়ে উঠেছি—এমনি করেই এক ইশারায় সব ঘটনা ঘটবে। পারব, পারব, পারব— একটুও সন্দেহ নেই। চলে তো এলুম। তার পর চারদিকে চেয়ে দেখি, টাকা কই ? কল্পতরু কোথায় ? বাহিরটা মনকে এমন করে লজ্জা দেয় কেন ? কিন্তু তবু টাকা এনে cनवहे । ८षभन कtब्रहे छ्'क डांटङ भानि ८नहे । ८षर्थाटन शैनङ cनशांटनझे अश्रब्रां५, শক্তিকে কোনো অপরাধ স্পৰ্শই করে না। চোরই চুরি করে, বিজয়ী রাজা লুঠ করে নেয় । কোথায় মালখানা, সেখানে কার হাতে টাকা জমা হয়, পাহারা দেয় কারা—এই সব সন্ধান করছি। অর্ধেক রাত্রে বাহির-বাড়িতে গিয়ে বারান্দায় দাড়িয়ে