পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇన్సe ब्रदौटज-ब्रछनांवलौ বাদের কাছে সে যদি তার খুলে দিত প্রাণের ঢাকা, তবু তারা রইত খাড়া যেমন ছিল তেমনি ফাকা । আমি তেী নই তাদের মতন সে-কথা সে জানত মনে যখন মোরে বাধল ধরে বিদ্ধ ক’রে নয়নকোণে । না মক্ষীরানী তুমি মিথ্যে খুঁজছ—নিখিল বিবাহের পর থেকে কবিতা-পড়া একেবারে ছেড়ে দিয়েছে, বোধ হয়, ওর আর দরকার হয় না। আমি ছেড়ে দিয়েছিলুম কাজের তাড়ায়, কিন্তু বোধ হচ্ছে যেন “কাব্যজরো মনুষ্যানাং” আমাকে ধরবে-ধরবে করছে । আমার স্বামী বললেন, আমি তোমাকে সতর্ক করে দিতে এসেছি সন্দীপ । সন্দীপ বললে, কাব্যজর সম্বন্ধে ? স্বামী ঠাট্টায় যোগ না দিয়ে বললেন, কিছুদিন ধরে ঢাকা থেকে মৌলবি আনাগোনা করতে আরম্ভ করেছে—এ-অঞ্চলের মুসলমানদের ভিতরে-ভিতরে খেপিয়ে তোলবার উদযোগ চলেছে। তোমার উপর ওরা বিরক্ত হয়ে আছে, হঠাৎ একটা-কিছু উৎপাত করতে পারে । পালাতে পরামর্শ দাও নাকি ? আমি খবর দিতে এসেছি পরামর্শ দিতে চাই নে । আমি যদি এখানকার জমিদার হতুম তাহলে ভাবনার কথা হত মুসলমানদেরই, আমার নয়। তুমি আমাকেই উদ্বিগ্ন করে না তুলে ওদের দিকে যদি একটু উদ্বেগের চাপ দাও তাহলে সেটা তোমার এবং আমার উভয়েরই যোগ্য হয়। জ্ঞান, তোমার দুর্বলতায় পাশের জমিদারদের পর্যন্ত তুমি দুর্বল করে তুলেছ ? সন্দীপ, আমি তোমাকে পরামর্শ দিই নি, তুমিও আমাকে পরামর্শ না দিলে চলত। ওটা বৃথা হচ্ছে। আর একটি কথা আমার বলবার আছে। তোমরা কিছুদিন থেকে দলবল নিয়ে আমার প্রজাদের পরে ভিতরে ভিতরে উৎপাত করছ । আর চলবে না, এখন তোমাকে আমার এলেক। ছেড়ে চলে যেতে হবে । মুসলমানের ভয়ে, না, আরও কোনো ভয় আছে ? এমন ভয় আছে যে ভয় না থাকাই কাপুরুষতা—আমি সেই ভয় থেকেই বলছি তোমাকে যেতে হবে সন্দীপ। আর দিন-পাচেক পরে আমি কলকাতায় ষাচ্ছি সেই সময় তোমারও আমার সঙ্গে যাওয়া চাই । আমাদের কলকাতার বাড়িতে থাকতে পার, তাতে কোনো বাধা নেই। আচ্ছা পাচ দিন ভাববার সময় পাওয়া গেল । ইতিমধ্যে মক্ষীজ্ঞানী, তোমার