পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇవ\ు রবীন্দ্র-রচনাবলী Ö ८ष आयाब करनद्र खांशंख-मूब इ'क ८ग-नद कथा छूण गाउ कौ ? cननश्लिब যে আগুন এরা জাললে তাতে আমারই কুশপুত্তলি দগ্ধ হয়ে যদি থামে তবে তো রক্ষী । এ কী খবর! আমাদের চকুয়ার কাছারিতে ডাকাতি হয়ে গেছে। কাল রাত্রে সদর-খাজনার সাড়ে সাত হাজার টাকার এক কিস্তি সেখানে জমা হয়েছিল আজ ভোরে নৌকা করে আমাদের সদরে রওনা হবার কথা। পাঠাবার সুবিধা হবে বলে নায়েব ট্রেজরি থেকে টাকা ভাঙিয়ে দশ কুড়ি টাকার নোট করে তাড়াবন্দি করে রেখেছিল। অর্ধেক রাত্রে ডাকাতের দল বন্দুক-পিস্তল নিয়ে মালখানা লুটেছে। কাসেম সর্দার পিস্তলের গুলি খেয়ে জখম হয়েছে। অশ্চির্ষের বিষয় এই যে ডাকাতের কেবল ছ-হাজার টাকা নিয়ে বাকি দেড় হাজার টাকার নোট ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে ফেলে চলে এসেছে। অনায়াসে সব টাকাই নিয়ে আসতে পারত। যাই হ’ক, ডাকাতের পালা শেষ হল, এইবার পুলিসের পালা আরম্ভ হবে। টাকা তো গেছেই এখন শান্তিও থাকবে না। বাড়ির ভিতরে গিয়ে দেখি সেখানে খবর রটে গেছে। মেজোরানী এসে বললেন, ঠাকুরপো, এ কী সর্বনাশ । আমি উড়িয়ে দেবার জন্য বললুম, সর্বনাশের এখনো অনেক বাকি আছে। এখনো কিছুকাল খেয়ে-পরে কাটাতে পারব। না ভাই, ঠাট্ট নয়, তোমারই উপর এদের এত রাগ কেন ? ঠাকুরপো, ভূমি না-হয় ওদের একটু মন রেখেই চলে না। দেশমুদ্ধ লোককে কি— দেশমুদ্ধ লোকের খাতিরে দেশকে মুদ্ধ মজাতে পারব না তো । এই সেদিন শুনলুম নদীর ধারে তোমাকে নিয়ে ওরা এক কাও করে বসেছে ! ছি ছি! আমি তো ভয়ে মরি ! ছোটোরানী মেমের কাছে পড়েছে ওর তো ভয়ডর নেই-আমি কেনারাম পুরুতকে ডাকিয়ে শাস্তিস্বস্ত্যয়নের বন্দোবস্ত করে দিয়ে তবে বাচি । আমার মাথা খাও ঠাকুরপো, তুমি কলকাতায় যাও—এখানে থাকলে ওরা কোনূ দিন কী করে বসে। মেজোরানীদিদির ভয় আবনা আজ আমার প্রাণে মৃধা বর্ষণ করলে ! অন্নপূর্ণা, তোমাদের হৃদয়ের দ্বারে আমাদের ভিক্ষ কোনোদিন ঘুঢ়বে না।