পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধরে-বাইরে اغلاری অমূল্য কার হাতে টাকা ফেরাতে চলল, আবার কোন জালের মধ্যে নিজেকে জড়াতে গেল। আমি তাকে তীরের মতো কেবল ছুড়তেই পারি কিন্তু লক্ষ্য ভুল হলে তাকে আর কোনোমতে ফেরাতে পারি নে । এই অপরাধের মূলে যে আমি আছি এই কথাটা এখনই স্বীকার করা আমার উচিত ছিল। কিন্তু মেয়েরা সংসারে বিশ্বাসের উপরেই বাস করে, সেই যে তাদের জগৎ । সেই বিশ্বাসকে লুকিয়ে ফাকি দিয়েছি এই কথাটা জানিয়ে তার পরে সংসারে টিকে থাকা অামাদের পক্ষে বড়ে কঠিন । যা আমরা ভাঙব ঠিক তার উপরেই যে আমাদের দাড়াতে হবে—সেই ভাঙা জিনিসের খোচা নড়তে-চড়তে আমাদের প্রতিমুহুর্তেই বাজতে থাকবে । অপরাধ করা শক্ত নয় কিন্তু সেই অপরাধের সংশোধন করা মেয়েদের পক্ষে যত কঠিন এমন আর কারও নয় । কিছুদিন থেকে আমার স্বামীর সঙ্গে বেশ সহজে কথাবার্তা কওয়ার প্রণালীট বন্ধ হয়ে গেছে । তাই হঠাৎ এত বড়ো একটা কথা কেমন করে এবং কখন যে তাকে বলব তা কিছুতেই ভেবে পেলুম না। আজ তিনি অনেক দেরিতে খেতে এসেছেন— তখন বেলা দুটে । অন্তমনস্ক হয়ে কিছুই প্রায় খেতে পারলেন না । আমি যে তাকে একটু অনুরোধ করে খেতে বলব সে-অধিকারটুকু খুইয়েছি। মুখ ফিরিয়ে আঁচলে চোখের জল মুছলুম। একবার ভাবলুম সংকোচ কাটিয়ে বলি, ঘরের মধ্যে একটু বিশ্রাম করো’লে, তোমাকে বড়ো ক্লাস্ত দেখাচ্ছে।—একটু কেশে কথাটা যেই তুলতে যাচ্ছি এমন সময় বেহার এসে খবর দিলে দারোগাবাবু কাসেম সর্দারকে নিয়ে এসেছে । আমার স্বামী উদ্বিগ্নমুখে তাড়াতাড়ি উঠে চলে গেলেন । তিনি বাইরে যাওয়ার একটু পরেই মেজোরানী এসে বললেন, ঠাকুরপে। কখন খেতে এলেন আমাকে খবর দিলি নে কেন ? অাজ তার খাবার দেরি দেখে নাইতে গেলুম,—এরই মধ্যে কখন— কেন, কী চাই । শুনছি তোরা কাল কলকাতায় যাচ্ছিস । তাহলে আমি এখানে থাকতে পারব না । বড়োরানী তার রাধাবল্লভ ঠাকুরকে ছেড়ে কোথাও নড়বেন না। কিন্তু আমি এই ডাকাতির দিনে যে তোমাদের এই শুভ ঘর আগলে বসে কথায়-কথায় চমকেচমকে মরব সে অামি পারব না। কাল যাওয়াই তো ঠিক ? আমি বললুম, ই ঠিক —মনে মনে ভাবলুম, সেই যাওয়ার আগে এইটুকু সময়ের भ५५] कङ झेडिशनहे ८ष टेडब्रि झ्रय ॐट्व ऊाब्र ठिकांना ८नई । ऊांब्र नदब्र و 8 ------b