পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য 盟 "HAL মান্ন-পড়ে ও সবটা রক্ষা করিতে গেলে আমাদের পরমাত্মীয়কে আমরা যথার্থভাবে দেখিতে পাই না । পরিচয়ের অর্থই এই যে, বাহা বর্জন করিবার তাহা বর্জন করিয়া, यांश् यश्° कब्रिवॉब्र डांश यश्ञ कब्र । একটু বাড়াইতেও হয়। আমাদের পরমাত্মীয়কেও আমরা মোটের উপরে অল্পই দেখিয়া থাকি । তাহার জীবনের অধিকাংশ আমাদের অগোচর। আমরা তাহার ছায়া নহি, আমরা তাহার অন্তৰ্বামীও নই। র্তাহার অনেকখানিই যে আমরা দেখিতে পাই না, সেই শূন্ততার উপরে আমাদের কল্পনা কাজ করে। ফাকগুলি পুরাইয়া লইয়া আমরা মনের মধ্যে একটা পূর্ণ ছবি আঁকিয়া তুলি । যে-লোকের সম্বন্ধে আমাদের কত্তন খেলে না, যাহার ফাক অামাদের কাছে ফাক থাকিয়া যায়, যাহার প্রত্যক্ষগোচর অংশই আমাদের কাছে বর্তমান, অপ্রত্যক্ষ অংশ আমাদের কাছে অস্পষ্ট অগোচর, তাহাকে আমরা জানি না, অল্পই জানি । পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এইরূপ আমাদের কাছে ছায়া, আমাদের কাছে অসত্যপ্রায় । তাহাদের অনেককেই আমরা উকিল বলিয়া জানি, ডাক্তার বলিয়া জানি, দোকানদার বলিয়া জানি—মানুষ বলিয়া জানি না। অর্থাৎ আমাদের সঙ্গে যে-বহির্বিষয়ে তাহাদের সংস্রব, সেইটেকেই সর্বাপেক্ষ। বড়ো করিয়া জানি—তাহদের মধ্যে তদপেক্ষা বড়ো যাহা আছে, তাহা আমাদের কাছে কোনো আমল পায় না। সাহিত্য যাহা আমাদিগকে জানাইতে চায়, তাহা সম্পূর্ণরূপে জানায়—অর্থাৎ স্থায়ীকে রক্ষা করিয়া, অবাস্তরকে বাদ দিয়া, ছোটোকে ছোটো করিয়া, বড়োকে বড়ো করিয়া, ফাককে ভরাট করিয়া, আলগাকে জমাট করিয়া দাড় করায়। প্রকৃতির অপক্ষপাত প্রাচুর্ধের মধ্যে মন যাহা করিতে চায়, সাহিত্য তাহাই করিতে থাকে। মন প্রকৃতির আরশি নহে, সাহিত্যও প্রকৃতির আরশি নহে। মন প্রাকৃতিক জিনিসকে মানসিক করিয়া লয়—সাহিত্য সেই মানসিক জিনিসকে সাহিত্যিক করিয়া তুলে । ছয়ের কার্ধপ্রণালী প্রায় একই রকম। কেবল দুয়ের মধ্যে কয়েকটা বিশেষ কারণে তফাত ঘটিয়াছে। মন যাহা গড়িয়া তোলে তাহ নিজের আবশ্বকের জন্ত—সাহিত্য যাহা গড়িয়া তোলে তাহা সকলের আনন্দের জন্ত । নিজের জন্ত একটা মোটামুটি নোট করিয়া রাখিলেও চলে—সকলের জঙ্গ আগাগোড়া সুসম্বদ্ধ করিয়া তুলিতে হয় । এবং তাহাকে এমন জায়গায় এমন আলোকে এমন করিয়া ধরিতে হয়, যাহাতে সম্পূর্ণভাবে সকলের দৃষ্টিগোচর হয়। মন সাধারণত প্রকৃতির মধ্য হইতে সংগ্রহ করে— সাহিত্য মনের মধ্য হইতে সঞ্চয় করে। মনের জিনিসকে বাহিরে ফলাইয়া তুলিতে