পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৈবেদ্য ২৫ আবার আমার হাতে বীণা দাও তুলি, আবার আস্থক ফিরে হারা গানগুলি । সহসা কঠিন শীতে মানসের জলে পদ্মবন মরে যায়, হংস দলে দলে, সারি বেঁধে উড়ে যায় স্বদুর দক্ষিণে জনহীন কাশফুল্প নদীর পুলিনে ; আবার বসন্তে তারা ফিরে আসে যথা বহি লয়ে আনন্দের কলমুথরতা,— তেমনি আমার যত উড়ে-যা ওয়া গান আবার মামুক ফিরে, মৌন এ পরান ভরি উতরোলে ; তারা শুনাক এবার সমুদ্রতীরের তান, অজ্ঞাত রাজার অগম্য রাজ্যের যত অপরূপ কথা, সীমাশূন্য নির্জনের অপূর্ব বারতা । এ আমার শরীরের শিরায় শিরায় যে প্রাণ-তরঙ্গমালা রাত্রিদিন ধায় সেই প্রাণ ছুটিয়াছে বিশ্ব-দিগবিজয়ে, সেই প্রাণ অপরূপ ছন্দে তালে লয়ে নাচিছে ভুবনে –সেই প্রাণ চুপে চুপে বস্থধার মৃত্তিকার প্রতি রোমকূপে লক্ষ লক্ষ তৃণে তৃণে সঞ্চারে হরষে, বিকাশে পল্পবে পুষ্পে,–বরষে বরষে ২৭