পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©vyo রবীন্দ্র-রচনাবলী নাই, তাহ আমার হৃদয়ের পক্ষে একেবারে নাই বলিলেই হয়। এই যে এতবড়ো জগতে আমরা রছিয়াছি, ইহার অনেকটাকেই আমাদের জানা-জগতের সম্পূর্ণ সামিল করিয়া আনিতে পারি নাই, এবং ইহার অধিকাংশই আমাদের মনোহর জগতের মধ্যে डूङ इहेब चांभांटलद्र जां★न्न श्हेब्रा खेरठे नाहे । অথচ, জগতের যতটা জ্ঞানের দ্বারা আমি জানিব ও হৃদয়ের দ্বারা আমি পাইব, ততটা আমারই ব্যাপ্তি, আমারই বিস্তৃতি । জগৎ যে-পরিমাণে আমার অতীত, সেই পরিমাণে আমিই ছোটো । সেইজন্য আমার মনোবৃত্তি হৃদয়বৃত্তি আমার কর্মশক্তি নিখিলকে কেবলই অধিক করিয়া অধিকার করিবার চেষ্টা করিতে থাকে। এমনি করিয়াই আমাদের সত্তা সত্যে ও শক্তিতে বিস্তৃত হইয়া উঠে । এই বিকাশের ব্যাপারে আমাদের সৌন্দর্যবোধ কোন কাজে লাগে ? সে কি সত্যের যে বিশেষ অংশকে আমরা বিশেষ করিয়া স্বন্দর বলি কেবল তাহাকেই আমাদের হৃদয়ের কাছে উজ্জল করিয়া তুলিয়া বাকি অংশকে স্নান ও তিরস্কৃত করিয়া দেয় ? তা যদি হয়, তবে তো সৌন্দর্য আমাদের বিকাশের বাধা—নিখিল সত্যের মধ্যে হৃদয়কে ব্যাপ্ত হইতে দিবার পক্ষে সে আমাদের অন্তরায় । সে তো তবে সত্যের মাঝখানে বিন্ধ্যাচলের মতো উঠিয়া তাহাকে সুন্দর-অসুন্দরের আর্যাবর্ত ও দাক্ষিণাত্য এই দুই ভাগে বিভক্ত করিয়া পরস্পরের মধ্যে চলাচলের পথকে দুর্গম করিয়া রাখিয়াছে । আমি বলিতে চেষ্টা করিয়াছিলাম যে, তাহা নহে ;—জ্ঞান যেমন ক্রমে ক্রমে সমস্ত সত্যকেই আমাদের বুদ্ধিশক্তির আয়ত্তের মধ্যে আনিবার জন্ত নিয়ত নিযুক্ত রহিয়াছে, সৌন্দর্যবোধেও তেমনি সমস্ত সত্যকেই ক্রমে ক্রমে আমাদের আনন্দের অধিকারে আনিবে, এই তাহার একমাত্র সার্থকতা । সমস্তই সত্য, এইজন্য সমস্তই আমাদের জ্ঞানের বিষয় । এবং সমস্তই সুন্দর, এইজন্য সমস্তই আমাদের আনন্দের সামগ্ৰী । গোলাপফুল আমার কাছে যে-কারণে সুন্দর, সমগ্র জগতের মধ্যে সেই কারণটি বড়ো করিয়া রহিয়াছে। বিশ্বের মধ্যে সেইরূপ উদার প্রাচুর্য অথচ তেমনি কঠিন সংযম –তাহার কেন্দ্রাতিগ শক্তি অপরিসীম বৈচিত্র্যে আপনাকে চতুর্দিকে সহস্রধা করিতেছে এবং তাহার কেন্দ্রান্থগ শক্তি এই উদ্দাম বৈচিত্র্যের উল্লাসকে একটিমাত্র পরিপূর্ণ সামঞ্জতের মধ্যে মিলাইয়া রাখিয়াছে। এই যে একদিকে ফুটিয়া পড়া এবং আর-একদিকে দ্বাটিয়া ধরা, ইহারই ছন্দে ছন্দে সৌন্ধৰ্ধ-বিশ্বের মধ্যে এই ছাড় দেওয়া এবং টান রাখার নিত্যলীলাতেই সুন্দর আপনাকে সর্বত্র প্রকাশ করিতেছেন। জাদুকর অনেকগুলি গোলা লইয়া যখন খেলা করে, তখন গোলাগুলিকে একসঙ্গে