পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০৩

সাহিত্য ●br為 ছুড়িয়া ফেল এবং লুফিয়া ধরার দ্বারাই আশ্চর্ধ চাতুর্ব ও সৌন্দর্ধের স্বষ্টি করিতে থাকে। ইহার মধ্যে যদি কোনো একটা গোলার কেবল ক্ষণকালীন অবস্থা আমাদের চোখে পড়ে, তবে হয় তাহার ওঠা নয় পড়া দেখি—তাহাতে দেখার পূর্ণত হয় না বলিয়া আননের পূর্ণত ঘটে না । জগতের আনন্মলীলাকেও আমরা যতই পূর্ণতররূপে দেখি, ততই জানিতে পারি, ভালোমন স্থখছঃখ জীবনমৃত্যু সমস্তই উঠিয়া ও পড়িয়া বিশ্বসংগীতের ছন্দ রচনা করিতেছে—সমগ্রভাবে দেখিলে এই ছন্দের কোথাও ৰিচ্ছেদ নাই। সৌন্দর্ধের কোথাও লাঘবতা নাই। জগতের মধ্যে সৌন্দর্যকে এইরূপ সমগ্রভাবে দেখিতে শেখাই সৌন্দর্যবোধের শেষ লক্ষ্য। মানুষ তেমনি করিয়া দেখিবার দিকে যতই অগ্রসর হইতেছে, তাহার আনন্দকে ততই জগতের মধ্যে প্রসারিত করিয়া দিতেছে—পূর্বে যাহা নিরর্থক ছিল ক্রমেই তাহা সার্থক হইয় উঠিতেছে, পূর্বে সে যাহার প্রতি উদাসীন ছিল ক্রমে সে তাহাকে আপনার সঙ্গে মিলাইয়া লইতেছে, এবং যাহাকে বিরুদ্ধ বলিয়া জানিত তাহাকে বৃহতের মধ্যে দেখিয়া তাহার ঠিক স্থানটিকে দেখিতে পাইতেছে ও তৃপ্তিলাভ করিতেছে। বিশ্বের সমগ্রের মধ্যে মানুষের এই সৌন্দর্ধকে দেখার বৃত্তান্ত, জগৎকে তাহার আনন্দের দ্বারা অধিকার করিবার ইতিহাস মানুষের সাহিত্যে আপনা-আপনি রক্ষিত হইতেছে। இ. কিন্তু সৌন্দর্যকে অনেক সময় আমরা নিখিল-সত্য হইতে পৃথক করিয়া দেখি এবং তাহাকে লইয়া দল বাধিয়া বেড়াই, ইহা দেখিতে পাওয়া যায়। যুরোপে সৌন্দর্যচর্চা সৌন্দর্ষপূজা বলিয়া একটা সাম্প্রদায়িক ধুম্বা আছে। সৌন্দর্যের বিশেষভাবের অনুশীলনটা যেন একটা বিশেষ বাহাদুরির কাজ, এইরূপ ভজিতে একদল লোক उांशांब्र छञ्चक्ष्वखा खेफ़ॉहेब्रा एवज्रांग्न । चब्र१ झेश्वब्रहरू७ ७हेक्रन निरखव्र विरलय मलङ्ख् করিয়া বড়াই করিয়া এবং অন্তদলের সঙ্গে লড়াই করিয়া বেড়াইতে মানুষকে দেখা গিয়াছে। বলা বাহুল্য, সৌন্দর্যকে চারিদিক হইতে বিশেষ করিয়া লইয়া জগতে আর-সমস্ত ডিঙাইয়া কেবল তাহার পশ্চাতে ছুটিয়া বেড়ানো সংসারের পনেরো-আনা লোকের কর্ম নহে । কেবলই মুন্দর-অম্বন্দর বঁাচাইয়া জৈন তপস্বীদের মতো প্রতিপদক্ষেপের হিসাব লইয়া চলিতে গেলে চলাই হয় না। পৃথিবীতে, কী সৌন্দর্ষে কী শুচিতায় বাহাজের হিসাব নিরতিশয় স্থঙ্ক, তাহারা মোটা-হিসাবের লোকদিগকে অবজ্ঞা করে। তাহাদিগকে বলে গ্রাম্য। মোটা-হিসাবের লোকেরা সসংকোচে তাহ স্বীকার করিয়া লয়।