পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য లిS(t नांना बन्द नांना यूथप्नुःcथब्र छिडब्र भिब्रा भांश्व इन्चब्रटक चांननएक नष्ठाब्र नव দিকে ছড়াইয়া বৃহৎ করিয়া চিনিয়া লইতেছে । তাহার এই চেনা কোথায় সঞ্চিত হইতেছে ? জগদব্যাপারসম্বন্ধে মানুষের জ্ঞান অনেকদিন হইতে অনেক লোকের দ্বারা প্ৰতিবদ্ধ হইয়া বিজ্ঞানের ভাণ্ডার ভরিয়া তুলিতেছে—এই সুযোগে একজনের দেখা অfর-একজনের দেখার সঙ্গে, এককালের দেখা আর-এককালের দেখার সঙ্গে পরখ করিয়া লইবার স্থবিধা হয়। এমন নহিলে বিজ্ঞান পাকা হইতেই পারে না । তেমনি মানুষ কর্তৃক স্বন্দরের পরিচয় আনন্দের পরিচয় দেশে দেশে কালে কালে সাহিত্যে সঞ্চিত হইতেছে । সত্যের উপরে মানুষের হৃদয়ের অধিকার কোন পথ দিয়া কেমন করিয়া বাড়িয়া চলিয়াছে, মুখবোৰ কেমন করিয়া ইন্দ্ৰিয়ত্বপ্তি হইতে ক্রমে প্রসারিত হইয়া মানুষের সমস্ত মন, ধর্মবুদ্ধি ও হৃদয়কে অধিকার করিয়া লইতেছে ও এমনি করিয়া ক্ষুদ্রকেও মহৎ এবং ছঃখকেও প্রিয় করিয়া তুলিতেছে—মাহব নিয়তই আপনার সাহিত্যে সেই পথের চিহ্ন রাখিয়া চলিয়াছে। র্যাহারা বিশ্বসাহিত্যের পাঠক, তাহারা সাহিত্যের ভিতর দিয়া সেই রাজপথটির অনুসরণ করিয়া, সমস্ত মানুষ হৃদয় দিয়া কী চাহিতেছে ও হৃদয় দিয়া কী পাইতেছে, সত্য কেমন করিয়া মাহুষের কাছে মঙ্গলক্কপ ও আনন্মরূপ ধরিতেছে তাহাই সন্ধান করিয়া ও অনুভব করিয়া কৃতাৰ্থ হইবেন । ইহা মনে রাখিতে হইবে, মানুষ কী জানে, তাহাতে নয়, কিন্তু মানুষ কিসে আনন্দ পায়, তাহাতেই মানুষের পরিচয় পাওয়া যায়। মানুষের সেই পরিচয়ই আমাদের কাছে ঔৎসুক্যজনক । যখন দেখি, সত্যের জন্ত কেহ নির্বাসন স্বীকার করিতেছে, তখন সেই বীরপুরুষের আনন্দের পরিধি আমাদের হৃদয়ের সম্মুখে পরিস্ফুট হইয়া উঠে । দেখিতে পাই, সে আনন্দ এভবড়ো জায়গা অধিকার করিয়া আছে যে, নির্বাসনছুঃখ অনায়াসে তাহার অঙ্গ হইয়াছে। এই দুঃখের দ্বারাই আনন্দের মহত্ব প্রমাণ হইতেছে। টাকার মধ্যেই যাহার আনন্দ, সে টাকার ক্ষতির ভয়ে অসত্যকে অপমানকে অনায়াসে স্বীকার করে ; সে চাকরি বজায় রাখিতে অন্তায় করিতে কুষ্ঠিত হয় না ;–এই লোকটি যত পরীক্ষাই পাস করুক, ইহার যত বিদ্যাই থাক্, আনন্দশক্তির সীমাতেই ইহার যথার্থ পরিচয়টি পাওয়া যায়। বুদ্ধদেবের কতখানি আনন্দের অধিকার ছিল, যাহাতে রাজ্যস্থখের আনন্দ তাহাকে বাধিয়া রাখিতে পারে নাই, ইহা ৰখন দেখে, তখন প্রত্যেক মানুষ মঞ্জুম্মত্ত্বের আনন্দপরিধির বিপুলতা দেখিয়া যেন নিজেরই গুপ্তধন জন্তের মধ্যে আবিষ্কার করে, নিজেরই বাধামুক্ত পরিচয় বাহিরে দেখিতে পায়। এই মহৎচরিত্রে আনন্দবোধ করাতে আমরা নিজেকেই আবিষ্কার করি।