পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जांश्डि7 లిఎa তাহার মধ্যে একটা মানবরল মিশাইয়া দেয়, এইজন্ত সে-ছবি জামাদের হৃদয়ের কাছে ७कü विप्लव च्यांग्रौञ्चउी लांड क८ब्र । विश्वंखग्रं९८क छांब ब्रिञ्च भांछूटबब्र छिङब्र निब्रा চালাইয়া লইলে সে আমাদের অত্যন্ত কাছে আসিয়া পড়ে । শুধু তাই নয়, ভাষার মধ্য দিয়াযে-ছবি আমাদের কাছে আসে, সে সমস্ত খুটিনাটি লইয়া আসে না । সে কেবল ততটুকুই আসে, যতটুকুতে সে একটি বিশেষ সমগ্রতা লাভ করে। এইজন্ত তাহাকে একটি অখণ্ডরসের সঙ্গে দেখিতে পাই—কোনো জনাবগুক বাহুল্য সেই রস ভঙ্গ করে না। সেই স্বসম্পূর্ণ রসের ভিতর দিয়া দেখাতেই সে-ছবি আমাদের অস্তঃকরণের কাছে এত অধিক করিয়া গোচর হইয়া উঠে । কবিকঙ্কণ-চণ্ডীতে ভাভুদত্তের ষে-বর্ণনা আছে, সে-বর্ণনায় মানুষের চরিত্রের যে একটা বড়ে দিক দেখানো হইয়াছে, তাহা নহে—এইরকম চতুর স্বার্থপর এবং গায়ে পড়িয়া মোড়লি করিতে মজবুত লোক আমরা অনেক দেখিয়াছি। তাহাদের সঙ্গ যে মুখকর, তাহাও বলিতে পারি না । কিন্তু কবিকঙ্কণ এই ছাদের মানুষটিকে আমাদের কাছে যে মূর্তিমান করিতে পারিয়াছেন, তাহার একটি বিশেষ কারণ আছে। ভাষায় এমন একটু কৌতুকরস লইয়া সে জাগিয়া উঠিয়াছে যে, সে শুধু কালকেতুর সভায় নয়, আমাদেরও হৃদয়ের দরবারে অনায়াসে স্থান পাইয়াছে ! ভাড়ুদত্ত প্রত্যক্ষসংসারে ঠিক এমন করিয়া আমাদের গোচর হইত না । আমাদের মনের কাছে মুসহ করিবার পক্ষে ভাড়ুদত্তের যতটুকু আবগুক, কবি তাহার চেয়ে বেশি কিছুই দেন নাই। কিন্তু প্রত্যক্ষসংসারের ভাড় দত্ত ঠিক ওইটুকুমাত্র নয়—এইজন্তই সে আমাদের কাছে আমন করিয়া গোচর হইবার অবকাশ পায় না । কোনো একটা সমগ্রভাবে সে আমাদের কাছে গোচর হয় না বলিয়াই আমরা তাহাতে আনন্দ পাই না। কবিকঙ্কণ-চণ্ডীতে ভাড়ুদত্ত তাহার সমস্ত অনাবশুক বাহুল্য বর্জন করিয়া কেবল একটি সমগ্র রসের মূর্তিতে আমাদের কাছে প্রকাশ পাইয়াছে। ভাড়ুদত্ত যেমন, চরিত্রমাত্রই সেইরূপ। রামায়ণের রাম যে কেবল মহান বলিয়াই আমাদিগকে আনন্দ দিতেছেন, তাহা নহে, তিনি আমাদের মুগোচর, সে-ও একটা কারণ। রামকে যেটুকু দেখিলে একটি সমগ্ররসে তিনি আমাদের কাছে জাগিয়া উঠেন, সমস্ত ৰিক্ষিপ্ততা বাদ দিয়া রামায়ণ কেবল সেইটুকুই আমাদের কাছে আনিয়াছে ;–এইজন্য এত স্পষ্ট তাহাকে দেখিতে পাইতেছি—এবং স্পষ্ট দেখিতে পাওয়াই মানুষের একটি বিশেষ আনন্দ । স্পষ্ট দেখিতে পাওয়া মানেই একটা কোনো সমগ্রভাবে দেখিতে পাওয়া, যেন অন্তরাত্মাকে দেখিতে পাওয়া । সাহিত্য তেমনি