পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|esty ब्रदौटअ-ब्रक्रमांदलौ করিয়া একটা সামঞ্জস্তের সুষমার মধ্যে সমস্ত চিত্র দেখায় বলিয়া আমরা আনন্দ পাই। এই স্থষমা সৌন্দর্য । আর-একটা কথা মনে রাখিতে হইবে, সাহিত্যের একটা বৃহৎ অংশ আছে, যাহা তাহার উপকরণবিভাগ। পূর্তবিভাগে কেবল যে ইমারত তৈরি হয়, তাহা নহে, তাহার দ্বারা ইটের পাজাও পোড়ানো হয় । ইটগুলি ইমারত নয় বলিয়৷ সাধারণ লোক অবজ্ঞা করিতে পারে, কিন্তু পূর্তবিভাগ তাহার মূল্য জানে। সাহত্যের যাহা উপকরণ, সাহিত্যরাজ্যে তাহার মূল্য বড়ো কম নয়। এইজগুই অনেক সময় কেবল ভাষার সৌন্দর্য কেবল রচনার নৈপুণ্যমাত্রও সাহিত্যে সমাদর *ांहेब्रां८छ् । হৃদয়ের ভাব প্রকাশ করিবার জন্য মানুষ যে কত ব্যাকুল, তাহ বলিয়া শেষ করা যায় না। হৃদয়ের ধর্মই এই, সে নিজের ভাবটিকে অন্তের ভাব করিয়া তুলিতে পারিলে তবে বাচিয়া যায়। অথচ কাজটি অত্যস্ত কঠিন বলিয়া তাহার ব্যাকুলতাও অত্যন্ত বেশি। সেইজন্ত যখন আমরা দেখি, একটা কথা কেহ অত্যন্ত চমৎকার করিয়া প্রকাশ করিয়াছে, তখন আমাদের এত আনন্দ হয়। প্রকাশের বাধা দূর হওয়াটাই আমাদের কাছে একটা দুমূল্য ব্যাপার বলিয়া বোধ হয়। ইহাতে আমাদের শক্তি বাড়িয়া যায়। যে-কথাটা প্রকাশ হইতেছে, তাহ বিশেষ মূল্যবান একটা-কিছু না হইলেও সেই প্রকাশ-ব্যাপারের মধ্যেই যদি কোনো অসামান্ততা দেখা যায়, তবে মানুষ তাহাকে সমাদর করিয়া রাখে। সেইজন্ত যাহ-তাহ অবলম্বন করিয়া কেবলমাত্র প্রকাশ করিবার লীলাবশতই প্রকাশ, সাহিত্যে অনাদৃত হয় নাই। তাহাতে মানুষ যে কেবল আপনার ক্ষমতাকে ব্যক্ত করিয়া আনন্দদান করে, তাহা নহে—কিন্তু যে-কোনো উপলক্ষ্য ধরিয়া শুদ্ধমাত্র আপনার প্রকাশধর্মটাকে খেলানোতেই তাহার যে আনন্দ, সেই নিতাস্ত বাহুল্য আনন্দকে সে আমাদের মধ্যেও সঞ্চার করিয়া দেয়। যখন দেখি, কোনো মানুষ একটা কঠিন কাজ অবলীলাক্রমে করিতেছে, তখন তাহাতে আমাদের আনন্ম হয়—কিন্তু যখন দেখি, কোনো কাজ নয়, কিন্তু যে-কোনো তুচ্ছ উপলক্ষ্য লইয়া কোনো মাহূব আপনার সমস্ত শরীরকে নিপুণভাবে চালনা করিতেছে, তখন সেই তুচ্ছ উপলক্ষ্যের গতিভঙ্গিতেই সেই লোকটার ষে প্রাণের বেগ যে উভমের উৎসাহ প্রকাশ পায়, তাহা আমাদের ভিতরকার প্রাণকে চঞ্চল করিয়া স্থখ দেয় । সাহিত্যের মধ্যেও হৃদয়ের প্রকাশধর্মের লক্ষ্যহীন নৃত্যচাঞ্চল্য যথেষ্ট স্থান পাইয়াছে। স্বাস্থ্য প্রান্তিহীন কর্মনৈপুণ্যেও আপনাকে প্রকাশ করে, আবার স্বাস্থ্য ষে কেবলমাত্র স্বাস্থ্য, ইহাই সে বিনা কারণেও প্রকাশ করিয়া থাকে। সাহিত্যে তেমনি মানুষ