পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8〉や ब्रदौटन-ब्रछनॉरुलौ এই সকল অভ্ৰভেদী সৌন্দর্য স্বজন করিয়া তুলিয়াছিল, আর আমরা যাহারা অর্ধনিমীলিত উদাসীন চক্ষে সেই সকল ভুবনমোহিনী কীর্তির এক-একটি প্রস্তরখণ্ড খসিতে দেখিতেছি অথচ কোনোটা যথাস্থানে পুনঃস্থাপন করিতে চেষ্টা করিতেছি না এবং পুনঃস্থাপন করিবার ক্ষমতাও রাখি না, আমাদের মাঝখানে এমন কী একটা মহাপ্রলয় ঘটিয়াছিল যাহাতে পূর্বকালের কার্যকলাপ এখনকার কালের নিকট প্রহেলিকা বলিয়া প্রতীয়মান হয়—আমাদের জাতীয়-জীবন-ইতিহাসের মাঝখানের কয়েকখানি পাতা কে একেবারে ছিড়িয়া লইয়া গেল যাহাতে আমরা তখনকার সহিত আপনাদিগের অর্থ মিলাইতে পারিতেছি না ? এখন আমাদের নিকট বিধানগুলি রহিয়াছে কিন্তু সে-বিধাতা নাই ; শিল্পী নাই, কিন্তু তাহদের শিল্পনৈপুণ্যে দেশ আচ্ছন্ন হইয়া আছে । আমরা যেন কোন এক পরিত্যক্ত রাজধানীর ভগ্নাবশেষের মধ্যে বাস করিতেছি—সেই রাজধানীর ইষ্টক যেখানে খসিয়াছে আমরা সেখানে কেবল কর্দম এবং গোময়পক্ষ লেপন করিয়াছি—পুরী নির্মাণ করিবার রহস্ত আমাদের নিকট সম্পূর্ণ অবিদিত । প্রাচীন পূর্বপুরুষদের সহিত আমাদের এতই বিচ্ছেদ ঘটিয়া গেছে যে, তাহাদের সহিত আমাদের পার্থক্য উপলব্ধি করিবার ক্ষমতাও আমরা হারাইয়াছি । আমরা মনে করি, সেকালে ভারতবর্ষের সহিত এখনকার কালের কেবল নুতন-পুরাতনের প্রভেদ । সেকালে যাহা উজ্জ্বল ছিল এখন তাহা মলিন হইয়াছে, সেকালে যাহা দৃঢ় ছিল এখন তাহাই শিথিল হইয়াছে—অর্থাৎ আমাদিগকেই যদি কেহ সোনার জল দিয়া পালিশ করিয়া কিঞ্চিং ঝকঝকে করিয়া দেয় তাহা হইলেই সেই অতীত ভারতবর্ষ সশরীরে ফিরিয়া আসে। আমরা মনে করি, প্রাচীন হিন্দুগণ রক্তমাংসের মমুখ্য ছিলেন না, তাহারা কেবল সজীব শাস্ত্রের শ্লোক ছিলেন–র্তাহারা কেবল বিশ্বজগৎকে মায়া মনে করিতেন এবং সমস্ত দিন জপতপ করিতেন । র্তাহারা যে যুদ্ধ করিতেন, রাজ্যরক্ষা করিতেন, শিল্পচর্চা ও কাব্যালোচনা করিতেন, সমুদ্র পার হইয়া বাণিজ্য করিতেন, তাহাদের মধ্যে যে ভালো-মন্দের সংঘাত ছিল, বিচার ছিল, বিদ্রোহ ছিল, भङटेदब्रिह्मा झिल-७क कथांग्र, छौरान श्लि, डांश चांयब्रॉ छांटन छांनि दर्टो किख् অস্তরে উপলব্ধি করিতে পারি না। প্রাচীন ভারতবর্ষকে কল্পনা করিতে গেলেই নূতন পঞ্জিকার বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ সংক্রাস্তির মূর্তিটি আমাদের মনে উদয় হয়। կբ এই আত্যস্তিক ব্যবধানের অন্যতম প্রধান কারণ এই যে, আমাদের দেশে তখন হইতে এখন পর্যন্ত সাহিত্যের মনোময় প্রাণময় ধারা অবিচ্ছেদে বহিয়া আসে নাই । সাহিত্যের বাহ-কিছু আছে তাহ মাঝে মাঝে দূরে দূরে বিক্ষিপ্তভাবে অৰস্থিত।