পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89b" রবীন্দ্র-রচনাবলী भ७जौ८ङ सsांनौ-ञख्ञांनौब्र ८उन यथन अङTख् जशिक श्ब्राझिल, उथcनां वज्र फेठिंग्रांरक्ष । শংকরাচার্ষের ছাত্ৰগণ যখন বিদ্যাকেই প্রধান করিয়া তুলিয়া জগৎকে মিথ্যা ও কর্মকে বন্ধন বলিয়া অবজ্ঞা করিতেছিলেন, তখন সাধারণে মায়াকেই শাস্তস্বরূপের শক্তিকেই মহামায়া বলিয়া শক্তীশ্বরের উর্ধের্ব দাড় করাইবার জন্ত খেপিয়া উঠিয়াছিল। মায়াকে মায়াধিপতির চেয়ে বড়ো বলিয়া ঘোষণা করা, এই এক বিদ্রোহ । ভারতবর্ষে এই বিদ্রোহের প্রথম সূত্রপাত কবে হইয়াছিল বলা যায় না, কিন্তু এই বিদ্রোহ দেখিতে দেখিতে সর্বসাধারণের হৃদয় আকর্ষণ করিয়াছিল। কারণ, ব্রহ্মের সহিত জগৎকে ও আত্মাকে প্রেমের সম্বন্ধে যোগ করিয়া না দেখিলে হৃদয়ের পরিতৃপ্তি হয় না। র্তাহার সহিত জগতের সম্বন্ধ স্বীকার না করিলেই জগৎ মিথ্যা—সম্বন্ধ স্বীকার করিলেই জগৎ সত্য । যেখানে ব্রহ্মের শক্তি বিরাজমান সেইখানেই ভক্তের অধিকার, যেখানে তিনি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র সেখানে ভক্তির মাৎসর্ষ উপস্থিত হয়। ব্রহ্মের শক্তিকে ব্রহ্মের চেয়ে বড়ো বলা ভক্তির মাৎসর্ষ—কিন্তু তাহা ভক্তি ;—শক্তির পরিচয়কে একেবারেই অসত্য বলিয়া গণ্য করাতে ও তাহা হইতে সম্পূর্ণ বিমুখ হইবার চেষ্টা করাতেই ক্ষুব্ধ ভক্তি যেন আপনার তীর লঙ্ঘন করিয়া উদ্বেল হইয়াছিল। এইরূপ বিদ্রোহকালে শক্তিকে উৎকটরূপে প্রকাশ করিতে গেলে, প্রথমে তাহার প্রবলতা তাহার ভীষ্মতাই জাগাইয়৷ তুলিতে হয়। তাহ ভয় হইতে রক্ষা করিবার সময় মাতা ও ভয় জন্মাইবার সময় চণ্ডী । তাহার ইচ্ছা কোনো বিধিবিধানের দ্বারা নিয়মিত নহে—তাহা বাধাবিহীন লীলা, কখন কী করে, কেন কী রূপ ধরে, তাহা বুঝিবার জো নাই, এইজন্ত তাহা ভয়ংকর। নিশ্চেষ্টতার বিরুদ্ধে এই প্রচওতার ঝড় । নারী যেমন স্বামীর নিকট হইতে সম্পূর্ণ ঔদাসীন্তের স্বাদবিহীন মুন্ধত অপেক্ষা প্রবল শাসন ভালোবাসে, বিদ্রোহী ভক্ত সেইরূপ নিগুৰ্ণ নিক্রিয়কে পরিত্যাগ করিয়া ইচ্ছাময়ী শক্তিকে ভীষণতার মধ্যে সর্বাস্ত;করণে অনুভব করিতে ইচ্ছা করিল। শিব আর্যসমাজে ভিড়িয়া যে ভীষণতা যে শক্তির চাঞ্চল্য পরিত্যাগ করিলেন, নিম্নসমাজে তাহা নষ্ট হইতে দিল না। যোগানন্দের শাস্ত ভাবকে তাহারা উচ্চশ্রেণীর জন্য রাখিয়া ভক্তির প্রবল উত্তেজনার আশায় শক্তির উগ্রতাকেই নাচাইয়া তুলিল। তাহারা শক্তিকে শিব হইতে স্বতন্ত্র করিয়া লইয়া বিশেষভাবে শক্তির পূজা খাড়া করিয়া তুলিল।