পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৩

जाहिरु - 883 স্বর্যমুখী-কুন্দনন্দিনীর বিপদসম্পদ-হৰ্ষবিষাদ আমরা আপনার করিয়া বুঝিতে পারি ; কারণ, সে-সমস্ত মুখদুঃখের কেন্দ্রস্থল নগেজের পরিবারমণ্ডলী। নগেন্দ্রকে আমাদের নিকট-প্রতিবেশী বলিয়া মনে করিতে কিছুই ৰাধে না । কিন্তু পৃথিবীতে অল্পসংখ্যক লোকের অভু্যদয় হয় ধাহাদের সুখদুঃখ জগতের বৃহৎব্যাপারের সহিত বদ্ধ। রাজ্যের উত্থামপতন, মহাকালের স্বদূর কার্যপরম্পরা যে সমুদ্রগর্জনের সহিত উঠিতে পড়িতেছে, সেই মহান কলসংগীতের স্বরে তাহাদের ব্যক্তিগত বিরাগ-অনুরাগ বাজিয়া উঠিতে থাকে । তাছাদের কাহিনী যখন গীত হইতে থাকে, তখন রুদ্র-বীণার একটা তারে মূলরাগিণী ৰাজে, এবং বাদকের অবশিষ্ট চার আঙ্গুল পশ্চাতের সরু মোট সমস্ত তারগুলিতে অবিশ্রাম একটা বিচিত্র গম্ভীর একটা স্বদূরবিস্তৃত ঝংকার জাগ্রত করিয়া রাখে। ৮ এই যে মামুষের সঙ্গে সঙ্গে কালের গতি ইহা আমাদের প্রতিদিনের প্রত্যক্ষগোচর নছে। যদি বা তেমন কোনো জাতীয় ইতিহাসশ্রষ্ট। মহাপুরুষ আমাদের সম্মুখে উপস্থিত থাকেন তথাপি কোনো খণ্ড ক্ষুদ্র বর্তমানকালে তিনি এবং সেই বৃহৎ ইতিহাস একসঙ্গে আমাদের দৃষ্টিগোচর হইতে পারে না । অতএব হুযোগ হইলেও এমন সকল ব্যক্তিকে আমরা কখনো ঠিকমতো তাহাদের যথার্থ প্রতিষ্ঠাভূমিতে উপযুক্তভাবে দেখিতে পাই না। র্তাহাদিগকে কেবল ব্যক্তিবিশেষ বলিয়া নহে, পরন্তু মহাকালের অঙ্গস্বরূপ দেখিতে হইলে দূরে দাড়াইতে হয়, অতীতের মধ্যে র্তাহাদিগকে স্থাপন করিতে হয়, তাহারা ষে সুবৃহৎ বঙ্গভূমিতে নায়কস্বরূপ ছিলেন, সেটা স্বদ্ধ তাহাদিগকে এক করিয়া দেখিতে হয় । o এই যে আমাদের প্রতিদিনের সাধারণ স্থখছুঃখ হইতে দূরত্ব, আমরা যখন চাকরি করিয়া কাদিয়া-কাটিয়া খাইয়া-দাইয়া কাল কাটাইতেছি তখন ষে জগতের রাজপথ দিয়া বড়ো বড়ো সারথিরা কালরথ চালনা করিক্ষা-লইয়া চলিতেছেন ইহাই অকস্মাৎ ক্ষণকালের জন্ত উপলব্ধি করিয়া ক্ষুদ্র পরিধি হইতে মুক্তিলাভ, ইহাই ইতিহাসের প্রকৃত রসস্বাদ । এরূপ ব্যাপার আগাগোড়া কল্পনা হইতে স্বজন করা যায় না যে তাহা নহে। কিন্তু যাহা স্বভাবতই আমাদের হইতে দূরস্থ, যাহা আমাদের অভিজ্ঞতার বহির্বর্তী, তাহাকে কোনো একটা ছুতায় খানিকটা প্রকৃত ঘটনার সহিত বাধিয়া দিতে পারিলে পাঠকের প্রত্যয় উৎপাদন লেখকের পক্ষে সহজ হয় । রসের স্বজনটাই উদ্দেশু অতএব সেজন্য ঐতিহাসিক উপকরণ ষে-পরিমাণে যতটুকু সাহাষ্ট্রে সে-পরিমাণে ততটুকু नहे८ङ कवि कूडैिड इन ना । Եyա6 Պ