পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য 8\به وی সাহিত্যের অন্তভূত হতে থাকে, ততই তার উপর সহস্ৰ মনের সহস্র ছাপ পড়ে এবং আমাদের মনোরাজ্যে তাদের আর প্রবাসীভাবে থাকতে হয় না। b এইরকম সাহিত্য-আকারে যখন সত্য পাই, তখন সে সর্বতোভাবে সাধারণের ব্যবহারোপযোগী হয় । কিন্তু সাধারণের সহজে ব্যবহারোপযোগী হয় বলেই সাধারণের কাছে অনেক সময় তার বিশেষ গৌরব চলে যায়। যেন সত্যকে মানবজীবন দিয়ে মণ্ডিত করে প্রকাশ করা কম কথা । সেটাকে সহজে গ্রহণ করা যায় বলে যেন সেটাকে স্বজন করাও সহজ। তাই আমাদের সারবান সমালোচকেরা প্রায়ই আক্ষেপ করে থাকেন, ংলায় রাশি রাশি নাটক-নভেল-কাব্যের আমদানি হচ্ছে । কই হচ্ছে ! যদি হত, তাহলে আমাদের ভাবনা কী ছিল ! আচ্ছা, তোমার কি মনে হয় না, আমরা জ্ঞানত কিম্বা অজ্ঞানত মানুষকেই সবচেয়ে বেশি গৌরব দিয়ে থাকি ? আমরা যদি কোনো সাহিত্যে অনেকগুলো ভ্রান্ত মতের সঙ্গে একটা জীবন্ত মানুষ পাই সেটাকে কি চিরস্থায়ী করে রেখে দিই নে ? জ্ঞান পুরাতন এবং অনাদৃত হয় কিন্তু মানুষ চিরকাল সঙ্গদান করতে পারে। সত্যকার মাহুষ প্রতিদিন যাচ্ছে এবং আসছে ; তাকে আমরা খও খও ভাবে দেখি, এবং ভুলে যাই, এবং হারাই। অথচ মানুষকে আয়ত্ত করবার জন্তেই আমাদের জীবনের সর্ব প্রধান ব্যাকুলতা । সাহিত্যে সেই চঞ্চল মানুষ আপনাকে বদ্ধ করে রেখে দেয় ; তার সঙ্গে আপনার নিগৃঢ় যোগ চিরকাল অনুভব করতে পারি। জীবনের অভাব সাহিত্যে পূরণ করে। চিরমন্থন্যের সঙ্গ লাভ করে আমাদের পূর্ণ মন্থন্তত্ব অলক্ষিতভাবে গঠিত হয়—আমরা সহজে চিন্তা করতে, ভালোবাসতে এবং কাজ করতে শিখি। সাহিত্যের এই ফলগুলি তেমন প্রত্যক্ষগোচর নয় বলে অনেকে একে শিক্ষার বিষয়ের মধ্যে নিকৃষ্ট আসন দিয়ে থাকেন কিন্তু আমার বিশ্বাস, সাধারণত দেখলে दिखांन-मर्जन बाउँौडe ८कदल नांश्रिङT ७कखन भांछ्रु ऐडद्धि झाड *ां८ब्र क्रूि সাহিত্য ব্যতিরেকে কেৰল বিজ্ঞান-দর্শনে মানুষ গঠিত হতে পারে না। কিন্তু আমি তোমাকে কী বলছিলুম, সে কোথায় গেল ! আমি বলছিলুম, কোনো একটা বিশেষ প্রসঙ্গ নিয়ে তার আগাগোড়া তর্ক নাই হল । তার মীমাংসাই বা নাই হল । কেবল দুজনের মনের আঘাত-প্রতিঘাতে চিন্তাপ্রবাহের মধ্যে বিবিধ ঢেউ তোলা—ষাতে করে তাদের উপর নানা বর্ণের আলোছায়া খেলতে পারে—এই হলেই বেশ হয়। সাহিত্যে এ-রকম স্থযোগ সর্বদা ঘটে না—সকলেই সর্বাদসম্পূর্ণ মত প্রকাশ করতেই ব্যভ—এইজন্তে অধিকাংশ মাসিক পত্র স্বত মতের