পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য 8&b ময়ূরশরীরের যে-উদ্যমট অতিরিক্ত, তাহাই তাহার বিপুল পুচ্ছে অনাবগুক, বর্ণচ্ছটায় বিচিত্র হইয়া উঠে—এই কলাপশোভা ময়ূরের একলার নহে, তাহা বিশ্বের। প্রভাতের জালোকে পাখির আনন্দ যখন তাহার আহারবিহারের প্রয়োজনকে ছাপাইয়া উঠিতে থাকে, তখনই সেই গানের অপরিমিত ঐশ্বর্ষে পাখি বিশ্বসাধারণের সহিত নিজের যোগস্থাপন করে। সাহিত্যেও তেমনি মানুষ আষাঢ়ের মেঘের মতো ধে-রসের ধারা এবং ষে-জ্ঞানের ভার নিজের প্রয়োজনের মধ্যে আর ধারণ করিয়ারাখিতে পারে না, তাহাকেই বিশ্বমানবের মধ্যে বর্ষণ করিতে থাকে । এই উপায়েই সাহিত্যের দ্বারাই হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয় মনের সঙ্গে মন মিলিত হইয়া মানুষ ক্রমাগত স্বকীয়, এমন কি, স্বজাতীয় স্বাতন্ত্রোর উর্ধের্ব বিপুল বিশ্বমানবে পরিণত হইবার অভিমুখে চলিয়াছে। এই কারণেই আমি মনে করি আমাদের ভাষায় “সাহিত্য” শব্দটি সার্থক। ইহাতে আমরা নিজের অত্যাবগুককে অতিক্রম করিয়া উদারভাবে মানুষের ও বিশ্ব প্রকৃতির সাহিত্য লাভ করি । কোনো দেশে যখন অতিমাত্রায় প্রয়োজনের কাড়াকড়ি পড়িয়া যায়, তখন সেখানে সাহিত্য নিজীব হইয়া পড়ে। কারণ প্রয়োজন পরকে আঘাত করে, পরকে আকর্ষণ করে না। জর্মনিতে যখন লেসিং, গ্যটে, শিলর, হাইনে, হেগেল, কান্ট, হুমবোলন্ড সাহিত্যের অমরাবতী স্বজন করিয়াছিলেন, তখন জর্মনির বাণিজ্যতরীরণতরী ঝড়ের মেঘের মতো পাল ফুলাইয়া পৃথিবী আচ্ছন্ন করিতে ছুটে নাই। আজ বৈশ্বযুগে জর্মনির যতই মেদবৃদ্ধি হইতেছে ততই তাহার সাহিত্যের হৃৎপিও বলহীন হইয়া পড়িতেছে। ইংরেজও আজ নিজের ভাণ্ডার পূরণ করা, দুর্বলকে দুর্বলতর করা এবং সমস্ত পৃথিবীতে একমাত্র অ্যাংলোস্তাকশন মহিমাকেই গণ্ডারের নাসাগ্রন্থিত একশৃঙ্গের মতো ভীষণভাবে উষ্ঠত রাখাকেই ধর্ম বলিয়া গণ্য করিয়াছে, তাই সেখানে সাহিত্যরঙ্গভূমিতে “একে একে নিবিছে দেউট” এবং আজ প্রায় “নীরব রবার বীণা মুরজ মুরলী।” ইহা হইতে বুঝিতে হুইবে, যে-সকল ভাব বিশ্বমানবের অভিমুখীন, তাহাই সাহিত্যকে জীবনদান করে। বৈষ্ণবধর্মপ্লাবনের সময় বিশ্বপ্রেম যেদিন বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে সমস্ত কৃত্রিম সংকীর্ণতার বেড়া ভাঙিয়া দিয়া উচ্চনীচ শুচি-অশুচি সকলকেই এক ভগবানের আনন্দলোকে জাহান করিল, সেইদিনকার বাংলাদেশের श्राम विप्रंब्र ग्रंॉन रुहेम्ना खश८ङब्र निडानांश्रिउj हांन गाहेबांटझ । किरू उकषर्ष बर्षन সর্বমানবের মহেশ্বরকে দূরে রাখিয়া মানুষের মধ্যে কেবল বাছবিচার এবং ভেদবিভেদের স্বজ্ঞাতিসূক্ষ্ম সীমাবিভাগ করিতে ব্যগ্র হয়, তখন সাহিত্যের রসপ্লাবন শুষ্ক হইয়া যায়, । কেবল তর্কবিতর্ক-বাবিবাদের মূল উড়িয়া আকাশ আচ্ছন্ন করিয়া ফেলে।