পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(VS)e ब्ररोौटश-ब्रध्नांखलौ মাউ খাউ, মানুষের গন্ধ পাউ ; চন্দ্রবিন্দুর বাহুল্য প্রয়োগেও তাহারা বাংলা ভাষা সম্বন্ধে উদ্বিগ্ন হইবে না । qû জানি আমাকে প্রশ্ন করা হইবে, সন্দীপ যতবড়ো মন্দ লোকই হউক তাহাকে দিয়া সীতাকে অপমান কেন ? আমি কৈফিয়তস্বরূপ বাল্মীকির দোহাই মানিব,—তিনি কেন রাবণকে দিয়া সীতার অপমান ঘটাইলেন ? তিনি তো অনায়াসেই রাবণকে দিয়া বলাইতে পারিতেন যে, মা লক্ষ্মী, আমি বিশ হাতে তোমার পায়ের ধুলা লইয়া দশ ললাটে তিলক কাটিতে আসিয়াছি। বেদব্যাস কেন দুঃশাসনকে দিয়া জয়দ্রথকে দিয়া দ্ৰৌপদীকে অপমানিত করিয়াছেন ? রাবণ রাবণের যোগ্যই কাজ করিয়াছে ; দুঃশাসন জয়দ্ৰথ যাহা করিয়াছে তাহা তাহাদিগকেই সাজে,—তেমনি আমার মতে সন্দীপ সীতা সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছে তাহা সন্দীপেরই যোগ্য—অতএব সে-কথা অন্যায় কথা বলিয়াই তাহা সংগত হইয়াছে। এবং সেই সংগতি সাহিত্যে নিন্দার বিষয় নহে । যদি আধুনিক কালের কোনো উপাধিধারী এমন কথা গদ্যে বা পষ্ঠে বলিতে পারিতেন যে, রাবণের পক্ষে সীতাহরণ কাজটা অসংগত, মন্থরার পক্ষে রামের প্রতি ঈর্ষা অযথা, স্থপণখার পক্ষে লক্ষ্মণের প্রতি অনুরাগের উদ্রেক অসম্ভব, তাহা হইলে নিশ্চয় কবিগুরু বিচারসভায় হাজির থাকিলেও নিরুত্তর থাকিতেন ; কেননা এমন সকল আলোচনা সাহিত্যসভায় চলিতে পারে। কিন্তু তাহা না বলিয়া ইহারা যদি বলিতেন এ-সকল বর্ণনা নিন্দনীয় কারণ ইহাতে সীতাকে রামকে লক্ষ্মণকে অপমানিত করা হইয়াছে এবং এই অপমান স্বয়ং কবিকৃত অপমান ; ধর্মশাস্ত্র অনুসারে এই সকল ভালোমানুষের প্রতি সকলেরই সাধু ব্যবহার করাই উচিত ; তবে যে-কবি সর্বাঙ্গে কীটের উৎপাত স্তব্ধ হইয়া সহ করিয়াছিলেন তিনিও বোধ হয় বিচলিত হইয়া উঠিতেন। আমি অন্ত দেশের কবি ও লেখকের গ্রন্থ হইতে কোনো দৃষ্টান্ত উদ্ধৃত করিলাম না । কেননা এমন কথা আমাদের দেশে প্রচলিত যে, অন্ত দেশের সহিত ভারতবর্ষের কোনো অংশে মিল নাই, সেই অমিলটাকেই প্রাণপণে স্বাকড়াইয়া থাকা আমাদের ন্যাশনাল সাহিত্যের লক্ষণ—অর্থাৎ স্কাশনাল সাহিত্য কুপমণ্ডুকের সাহিত্য ।