পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুনশ্চ তনুকা কী বুঝলে জানি নে, হঠাৎ লজা পেলে, খুশিও হল । চললেমািটবসুদ্ধ গাছ নিয়ে । দেখা গেল পার্শ্ববর্তিনী হিসাবে সহযোন্ত্ৰিণীটি সহজ নয় । একটা দো-কামরা গাড়িতে টবটাকে লুকোলেম নাবার ঘরে । বাদ দেওয়া যাক আরো মাস কয়েকের তুচ্ছতা । বায়ু বদলের বায়ু -গ্ৰস্তদল এ জায়গার খবর জানে না ! কমলার মামা ছিলেন রেলের এঞ্জিনিয়র । এইখানে বাসা বেঁধেছেন শালবনের ছায়ায়, কাঠবিড়ালিদের পাড়ায় । সেখানে নীল পাহাড় দেখা যায় দিগন্তে, অদূরে জলধারা চলেছে বালির মধ্যে দিয়ে, পলাশবনে তসরের গুটি ধরেছে, মহিষ চরছে। হর্তকি গাছের তলায় উলঙ্গ সঁওতালের ছেলে পিঠের উপরে । বাসাবাড়ি কোথাও নেই, তাই তাবু পাতালেম নদীর ধারে । সঙ্গী ছিল না কেউ, কেবল ছিল টবে সেই ক্যামেলিয়া । কমলা এসেছে মাকে নিয়ে রোদ ওঠবার আগে হিমো-ছোওয়া স্নিগ্ধ হওয়ায় শাল-বাগানের ভিতর দিয়ে বেড়াতে যায় ছাতি হাতে । মেঠো। ফুলগুলো পায়ে এসে মাথা কোটে, কিন্তু সে কি চেয়ে দেখে । অল্পজল নদী পায়ে হেঁটে পেরিয়ে যায় ও পারে, সেখানে সিসুগাছের তলায় বই পড়ে । আর আমাকে সে যে চিনেছে তা জানলেম আমাকে লক্ষ্য করে না বলেই । একদিন দেখি নদীর ধারে বালির উপর চডিভাতি করছে এরা । ইচ্ছে হল গিয়ে বলি, আমাকে দরকার কি নেই কিছুতেই । ՀԳ Գ