পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুনশ্চ রাজা বললে, “যেমন খুশি কল্পনা করে নিয়ো, সেই কল্পনাই হবে সত্য ।” চৈত্রসংক্রান্তির রাত্রে আবার মিলন । মহিষী বললে, “দেখলাম নাচ । যেন মঞ্জরিত শালতারুশ্রেণীতে <PNg-NOG NEVO I সকলেই সুন্দর, যেন ওরা চন্দ্ৰলোকের শুক্লপক্ষের মানুষ । । কেবল একজন কুগ্ৰী কেন রাসভঙ্গ করলে, ও যেন রাহুর অনুচর । ওখানে কী গুণে সে পেল প্রবেশের অধিকার ।” রাজা স্তৱন্ধ হয়ে রইল । কিছু পরে বললে, “ওই কুশ্রীর পরম বেদনাতেই তো সুন্দরের আহবান । কালো মেঘের লজ্জাকে সাস্তুনা দিতেই সূর্যরশ্মি তার ললাটে পরায় ইন্দ্ৰধনু, মরুনীরস কালো মর্তের অভিশাপের উপর স্বগের করুণা যখন রূপ ধরে তখনই তো শ্যামলসুন্দরের আবির্ভাব । প্রিয়তমে, সেই করুণাই কি তোমার হৃদয়কে কাল মধুর করে নি ।” “না মহারাজ, না” বলে মহিষী দুই হাতে মুখ ঢাকলে । রাজার কণ্ঠের সুরে অশ্রুর ছোওয়া লাগল ; বললে, “যাকে দয়া করলে হৃদয় তোমার ভরে উঠত তাকে ঘূণা করে মনকে কেন পাথর করলে ।” ‘রাসবিকৃতির পীড়া সইতে পারি নে” এই বলে মহিষী আসন থেকে উঠে পড়ল । রাজা তার হাত ধরলে ; বললে, “একদিন সইতে পারবে আপনারই আন্তরিক রসের দাক্ষিণ্যে কুশ্রীর আত্মত্যাগে সুন্দরের সার্থকতা ।” ভুকুটিল করে মহিষী বললে, “অসুন্দরের জন্যে তোমার এই অনুকম্পার অর্থ বুঝি নে । ওই শোনো, উষার প্রথম কোকিলের ডাক, অন্ধকারের মধ্যে তার আলোকের অনুভূতি । আজ সূর্যোদয় মুহুর্তে তোমারও প্রকাশ হবে আমার দিনের মধ্যে, এই আশায় রইলাম ।” রাজা বললে, “তাই হোক, ভীরুতা যাক কেটে ।” দেখা হল । টলে উঠল যুগলের সংসার । 'बैको ख्धनाश— कैको निर्छुद्र बश्ना ! বলতে বলতে কমালিকা ঘর থেকে ছুটে পালিয়ে গেল । গেল বহুদূরে বনের মধ্যে মৃগয়ার জন্যে যে নির্জন রাজগৃহ আছে সেইখানে । কুয়াশায় শুকতারার মতো লাজায় সে আচ্ছন্ন । রাত্রি যখন দুই প্রহর তখন আধ-বুমে সে শুনতে পায় এক বীণাকবনির আর্তরাগিণী । VSDSRA