পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্তকরবী Վ)ԳՎ) নন্দিনী । সে আমি জানতুম । তবু আশা দিলে যখন, জয় হােক তোমার সর্দার, এই নাও কুন্দকুলের टाळीं । বিশু ! ছি:৷ ছি, মালাটা নষ্ট করলে ! রঞ্জনের জন্যে রাখলে না কেন । न्यायन्तिी । · ऊङ् ख्ञ6न् भाव्लां ऊ८छ् । সর্দার । আছে বৈকি, ঐ বুঝি গলায় দুলছে ?? জয়মালা এই কুন্দকুলের, এ-যে হাতের দান- আর বরণমালা ঐ রক্তকরবীর, এ হৃদয়ের দান । ভালো ভালো, হাতের দান হাতে হাতেই চুকিয়ে দাও, নইলে শুকিয়ে যাবে ; হৃদয়ের দান, যত অপেক্ষা করবে তত তার দাম বাড়বে । [ প্ৰস্থান নন্দিনী । (জানলার কাছে)। শুনতে পাচ্ছে ? নেপথ্যে | কী বলতে চাও বলো । নন্দিনী । একবার জানলার কাছে এসে দাড়াও । নেপথ্যে । এই এসেছি । নন্দিনী ।। ঘরের মধ্যে যেতে দাও, অনেক কথা বলবার আছে । নেপথ্যে । বার বার কেন মিছে অনুরোধ করছি । এখনো সময় হয় নি । ও কে তোমার সঙ্গে ? রঞ্জনের জুড়ি নাকি ? বিশু । না রাজা, আমি রঞ্জনের ও-পিঠা, যে পিঠে আলো পড়ে না- আমি অমাবস্যা । নেপথ্যে । তোমাকে নন্দিনীর কিসের দরকার ? নন্দিনী, এ লোকটা তোমার কে । নন্দিনী । ও আমার সাথি, ও আমাকে গান শেখায় । ঐ তো শিখিয়েছে 하rR “ভালোবাসি ভালোবাসি’ এই সুরে কাছে দূরে জলে-স্থলে বাজায় বাশি । নেপথ্যে । ঐ তোমার সাথি ? ওকে এখনই যদি তোমার সঙ্গছাড়া করি তা হলে কী হয় । নন্দিনী । তোমার গলার সুর ও কিরকম হয়ে উঠল ? থামো তুমি । তোমার কেউ সঙ্গী নেই নাকি ? নেপথ্যে । আমার সঙ্গী ? মধ্যাহ্নসূর্যের কেউ সঙ্গী আছে ? নন্দিনী । আচ্ছা, থাক ও কথা । মা গো, তোমার হাতে ওটা কী ? নেপথ্যে । একটা মারা ব্যাঙ । नन्लिनेी । दो कद्धति ७क निश ? নেপথ্যে । এই ব্যাঙ একদিন একটা পাথরের কোটরের মধ্যে ঢুকেছিল । তারই আড়ালে তিন হাজার বছর ছিল টিকে । এইভাবে কী করে টিকে থাকতে হয় তারই রহস্য ওর কাছ থেকে শিখছিলুম ; কী করে বেঁচে থাকতে হয় তা ও জানে না । আজ আর ভালো লাগল না, পাথরের আড়াল ভেঙে ফেললুম, নিরন্তর টিকে-থাকার থেকে ওকে দিলুম মুক্তি । ভালো খবর নয় ? নন্দিনী । আমারও চারি দিক থেকে তোমার পাথরের দুর্গ আজ খুলে যাবে। আমি জানি, আজ রঞ্জনের সঙ্গে দেখা হবে । নেপথ্যে । তোমাদের দুজনকে তখন একসঙ্গে দেখতে চাই । নন্দিনী । জালের আড়ালে তোমার চশমার ভিতর দিয়ে দেখতে পাবে না । নেপথ্যে । ঘরের ভিতরে বসিয়ে দেখব । নন্দিনী । তাতে কী হবে ? নেপথ্যে । আমি জানতে চাই । নন্দিনী । তুমি যখন জানিবার কথা বল, কেমন ভয় করে।