পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ଅଧ୍ଯ v; প্রথম দৃশ্য অক্ষয়ের বৈঠকখানা অক্ষয় ও পুরবালা পুরবালা । তোমার নিজের বোন হলে দেখতুম কেমন চুপ করে বসে থাকতে। এত দিনে এক-একটির তিনটি-চারটি করে পাত্ৰ জুটিয়ে আনতে । ওরা আমার বোন। কিনা অক্ষয় । মানবচরিত্রের কিছুই তোমার কাছে লুকোনো নেই। নিজের বোনে এবং স্ত্রীর বোনে যে কত প্ৰভেদ তা এই কাচা বয়সেই বুঝে নিয়েছ। তা ভাই, শ্বশুরের কোনো কন্যাটিকেই পরের হাতে সমর্পণ করতে কিছুতেই মন সরে না- এ বিষয়ে আমার ঔদার্যের অভাব আছে তা স্বীকার করতে হবে। পুরবালা । দেখো, তোমার সঙ্গে আমার একটা বন্দোবস্ত করতে হচ্ছে। অক্ষয় । একটা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত তো মন্ত্র পড়ে বিবাহের দিনেই হয়ে গেছে, আবার আর একটা ! পুরবালা ; ওগো, এটা তত ভয়ানক নয়। এটা হয়তো তেমন অসহ্য না হতেও পারে। অক্ষয় সখী, তবে খুলে বলে । 하F কী জানি কী ভেবেছ মনে খুলে বলো লালনে । কী কথা হয় ভেসে যায়। ওই ছলছল নয়নে । পুরবালা । ওস্তাদজি, থামো । আমার প্রস্তাব এই যে দিনের মধ্যে একটা সময় ঠিক করে যখন তোমার ঠাটা বন্ধ থাকবে, যখন তোমার সঙ্গে দুটাে-একটা কাজের কথা হতে পারবে । অক্ষয় । গরিবের ছেলে, স্ত্রীকে কথা বলতে দিতে ভরসা হয় না, পাছে খপ করে বাজুবন্দ চেয়ে বসে। 히R পাছে চেয়ে বসে আমার মন আমি তাই ভয়ে ভয়ে থাকি । পাছে চোখে চোখে পড়ে বাধা আমি তাই তো তুলি নেআঁখি । পুরবালা । তবে যাও । অক্ষয়। না না, রাগারগি না। আচ্ছা, যা বল। তাই শুনব । খাতায় নাম লিখিয়ে তােমার ঠাট্টানিবারণী সভার সভ্য হব । তোমার সামনে কোনো রকমের বেয়াদবি করব না। তা, কী কথা হচ্ছিল। শ্যালীদের বিবাহ । উত্তম প্ৰস্তাব ।