পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8SV রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী অক্ষয় । আর সব ভালো, কেবল তোমার ফর্দের মধ্যে সোনার প্রদীপটাই আককারা ঠেকছে। চেষ্টার द्धार्गी शब्द ब्ा । নীরবালা । দিদিদের সভাটা কোন ঘরে বসবে মুখুজেমশায় । অক্ষয় । আমার বসবার ঘরে । নীরবালা । তা হলে সে ঘরটা একটু সাজিয়ে-গুজিয়ে দিইগে । অক্ষয় । যতদিন আমি সে ঘরটা ব্যবহার করছি একদিনও সাজাতে ইচ্ছে হয় নি বুঝি ? নীরবালা । তোমার জন্যে ঝড় বেহারা আছে, তবু বুঝি আশা মিটাল না ? পুরবালার প্রবেশ পুরবালা । কী হচ্ছে তোমাদের । নীরবালা । মুখুজেমশায়ের কাছে পড়া বলে নিতে এসেছি দিদি । তা, উনি বলছেন ওঁর বাইরের ঘরটা ভালো করে ঝেড়ে সাজিয়ে না দিলে উনি পড়াবেন না । তাই সেজদিদিতে আমাতে ওঁর ঘর সাজাতে যাচ্ছি। আয় ভাই । নৃপবালা । তোর ইচ্ছে হয়েছে তুই ঘর সাজাতে যা-না- আমি যাব না। নীরবালা । বাঃ, আমি একা খেটে মরব, আর তুমি-সুদ্ধ তার ফল পাবে সে হবে না । নৃপকে গ্রেপ্তার করিয়া লইয়ানীর চলিয়া গোল পুরবালা । সব গুছিয়ে নিয়েছি। এখনো ট্রেন যাবার দেরি আছে বোধ হয়। অক্ষয় । যদি মিস করতে চাও তা হলে ঢের দেরি আছে। चेिऊँीश ख्छ প্রথম দৃশ্য চন্দ্ৰবাবুর বাড়ি । চিরকুমার-সভার ঘর ਵਿਕ শ্ৰীশ । তা, যাই বল, অক্ষয়বাবু যখন আমাদের সভায় ছিলেন তখন আমাদের চিরকুমার-সভা জমেছিল ভালো। আমাদের সভাপতি চন্দ্রবাবু কিছু কড়া। বিপিন। তিনি থাকতে রস কিছু বেশি জমে উঠেছিল- চিরকীেমাৰ্যব্রতের পক্ষে রসাধিক্যটা ভালে নয়, আমার তো এই মত । শ্ৰীশ । আমার মত ঠিক উলটো । আমাদের ব্ৰত কঠিন বলেই রসের দরকার বেশি । রুক্ষ মাটিতে ফসল ফলাতে গেলে কি জলসিঞ্চনের প্রয়োজন হয় না । চিরজীবন বিবাহ করব না। এই প্ৰতিজ্ঞাই যথেষ্ট্র তাই বলেই কি সব দিক থেকেই শুকিয়ে মরতে হবে । বিপিন । যাই বল, হঠাৎ কুমার-সভা ছেড়ে দিয়ে বিবাহ করে অক্ষয়বাবু আমাদের সভাটাকে যে আলগা করে দিয়ে গেছেন। ভিতরে ভিতরে আমাদের সকলেরই প্ৰতিজ্ঞার জোর কমে গেছে। শ্ৰীশ । কিছুমাত্র না। আমার নিজের কথা বলতে পারি, আমার প্রতিজ্ঞার বল আরো বেড়েছে। যে ব্ৰ সকলে অনায়াসেই রক্ষা করতে পারে তার উপরে শ্রদ্ধা থাকে না । বিপিন। একটা সুখবর দিই শোনো । । শ্ৰীশ । তোমার বিবাহের সম্বন্ধ হয়েছে নাকি ।