পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tre NR সেথায় তোমার বুদ্ধি সদাই জাগে, চক্ষে তোমার আবেশ নাহি লাগে, আমার ভীরু হৃদয় ছায়া মাগে, তোমার সেথায় আলোক খরতর, যখন সেথা। চাহ আমার বাগে সংকোচে প্ৰাণ বঁকাপে থর থর । মোহভঙা দৃষ্টি তোমার যখন আঘাত হানে, এক নিমেষে অপরাপের রূপের মধ্যখানে অস্ত্ৰ যন্ত্ৰ প্ৰকাশ পেয়ে উঠে । বসুন্ধরার শ্যামল প্ৰাণের ঢাকা রূঢ় পাথর গোপন করে রাখা, ভিতরে তার কতই উমাকাবাকা কতকালের দাহন-ইতিহাসে, ফাটল-ধরা কত-ন্যে দাগ আঁকা তোমার চোখে বাহির হয়ে আসে । তেমনি করে যখন কাভু আমার পানে চাবে মৰ্মভেদী কৌতুহলের আঁখি, বিধাতা যা লুকান লাজে দেখতে-যে তাই পাবে মোর রচনায় যা আছে তার বাকি । আমার মাঝে তোমার অগোচরে আদিম যুগের গোপন গভীর স্তরে অপূৰ্ণতা রয়েছে। অন্তরে, সৃষ্টি আমার অসমাপ্ত আছে, সামনে এলে মরি-যে সেই ডরে ভাঙাচোরা চক্ষে পড়ে পাছে । তোমার প্রাণে কোনোখানে নাই কি মায়ার ঠাই যেথায় তীক্ষা চোখের কোনো প্রশ্ন জেগে নাই অসতর্ক মুক্ত হৃদয়দ্ধারে ? যেথায় তুমি দৃষ্টিকর্তা নহ, সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি লয়ে রহ, যেথা নানা বর্ণের সংগ্ৰহ, যেথা নানা মূর্তিতে মন মাতে, যেথা তোমার অতৃপ্ত আগ্ৰহ BSBDSLD DL0B HDLT S সেথায় আমি যাব যখন চৈত্ররাজনীতে বনের বাণী হাওয়ায় নিরুদ্দেশা, চাদের আলোয় ঘুম-হারানো পাখির কলগীতে পথ-হারানো ফুলের রেণু মেশা ।