পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহুয়া স্তব্ধ আছে তরুশ্রেণী মরণছায়া ঢাকা, শূন্যে ওড়ে অদৃশ্য কোন পাখা । আমি পথিক যাব-যে কোন দূরে ; তুমি রাজার পুরে মাঝে মাকে কাজের অবসরে বাহির হয়ে আসবে হেথায় ওই অলিন্দ-’পরে, দেখবে চেয়ে অকারণে স্তব্ধ নেত্রপাতে গোধূলিবেলাতে নদীর প্রান্তরেখায় যে পথ গিয়েছে হারায়ে । তোমার ইচ্ছা চলবে কল্পনাতে সুদূর পথে আভাসরূপী সেই অজানার সাথে পান্থ যে জন নিত্য চলে যায় । আমি পথিক হয়, পিছন-পানে এই বিদেশের সুদূর সৌধশিরে ছায়ায়-ঢাকা অধোক-দেখা তোমার বাতায়নে, যে মুখ তোমার লুকিয়ে ছিল সে মুখ আঁকি মনে । o TNisran > Soed দপািণ দপািণ লইয়া তারে কী প্রশ্ন শুধাও একমনে হে সুন্দরী, কী সংশয় জাগে তব উদবিগ্ন নয়নে । নিজেরে দেখিতে চাও বাহিরে রাখিয়া আপনারে খুজিছ আপনি স্থান । প্রেমের অর্ঘ্যের কোনো ত্রুটি দেখ কি মুখের কোনোখানে । তাই তব আঁখিদুটি নিজেরে কি করিছে ভৎসনা । সাজায়ে লইয়া সর্বদেহে স্বগের গর্বের ধন, তবে যেতে চাও তার গোহে ? জান না কি হে রমণী, দপণে যা দেখিছ তা ছায়া, পার না রচিতে কীভু তাই দিয়ে চিরস্থায়ী মায়া । তিলোত্তম অনুপমা সুরেন্দ্রের প্রমোদপ্রাঙ্গণে কঙ্কণঝংকারে আর নৃত্যলোল নৃপরনিক্কণে নাচিয়া বাহিরে চলে যায় । লয়ে আত্মনিবেদন গৌরবে জিনিলা শচী ইন্দ্ৰলোকে নন্দন-আসন । Savfor Sovg