পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহুয়া বিদায়সম্বল যাবার দিকের পথিকের ”পরে ক্ষণিকার স্নেহখানি শেষ উপহার করুণ অধরে দিল কানে কানে আনি । “ভুলিব না কভু, রবে মনে মনে এই মিছে। আশা দেয় খনে খনে, ছলছল ছায়া নবীন নয়নে বাধোবাধো মৃদু বাণী । যাবার দিকের পথিক সে কথা ভরি লয়। তার প্রাণে । পিছনের এই শেষ আকুলতা পাথেয় বলি সে জানে । যখন আঁধারে ভরিবে সারণী, ভুলে-ভরা ঘুমে নীরব ধরণী, “ভুলিব না কভু,’’ এই ক্ষীণধ্বনি তখনো বাজিবে কানে । যাবার দিকের পথিক সে বোঝেযো যায়। সে যায় চলে, যারা থাকে তারা এ উহারে খোজে, যো যায় তাহরে ভোলে । তবুও নিজেরে ছলিতে ছলিতে “ভুলিব না কভু’ বিভাসে ললিতে এই কথা বুকে দোলে । সিঙাপুর ১৯ অগস্ট ১৯২৭ क्रेिनाCख्ठ বাহিরে তুমি নিলে না মোরে, দিবস গেল বয়ে, তাহাতে মোর যা হয় হােক ক্ষতি, অন্তরে যা দিবার ছিল মিলিছে এক হয়ে, চরণে তব গোপনে তার গতি । লুকগয়ে ছিল ছায়াতে ফুল, ভরিল তব ডালি, গন্ধভরা বন্দনাতে দিয়েছি। ধূপ জ্বালি, প্ৰদীপ ছিল মলিনশিখা, ধোয়াতে ছিল কালি, দীপ্ত হয়ে উঠিছে তার জ্যোতি ।