পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক তার ভাঙা খেলনার টুকরোগুলোও দেখিনে ধুলোর পরে । সেদিন জীবনের ছোটো গবাক্ষের কাছে সে বসে থাকত বাইরের দিকে চেয়ে । তার বিশ্ব ছিল সেইটুকু ফাকের বেষ্টনীর মধ্যে । তার অবোধ চোখ-মেলে চাওয়া ঠেকে যেত বাগানের পাচিলটাতে সারি সারি নারকেল গাছে । সন্ধ্যেবেলাটা রূপকথার রসে নিবিড় ; বিশ্বাস অবিশ্বাসের মাঝখানে বেড়া ছিল না উচু, মনটা এদিক থেকে ওদিকে ডিঙিয়ে যেত অনায়াসেই । প্রদোষের আলো-আঁধারে க் বস্তুর সঙ্গে ছায়াগুলো ছিল জড়িয়ে, দুইই ছিল একগোত্রের । সে-কয়দিনের জন্মদিন একটা দ্বীপ, কিছুকাল ছিল আলোতে, কাল-সমুদ্রের তলায় গেছে ডুবে । ভাটার সময় কখনো কখনো দেখা যায় তার পাহাড়ের চুড়া, দেখা যায় প্রবালের রক্তিম তটরেখা । পচিশে বৈশাখ তার পরে দেখা দিল আর-এক কালাস্তরে, ফাত্তনের প্রত্যুষে । l রঙিন আভার অস্পষ্টতায় । >>